Kaninika Banerjee: টিআরপি পড়ে যায়, ভালো কিছু দেখালেই, দোষ দর্শকদের, কণীনিকা

Published By: Khabar India Online | Published On:

 অভিনেত্রী কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ‘আয় তবে সহচরী’ এখন দর্শকদের মনের গভীরে একটি জায়গা নিয়ে নিয়েছে।

 প্রতি সপ্তাহে সেরা দশের বাইরে থাকত এই ধারাবাহিক। কিন্তু টিপু বরফির বিয়ের পর থেকে ধারাবাহিকটির ভাগ্য বদলাতে থাকে। টিপু বরফির বিয়ের পর গল্পে দেবিনার আগমন সহচরীকে সেরা পাঁচে পাকাপোক্ত জায়গা করে দেয়। কিন্তু বারবার দর্শক অভিযোগ করেন, সিরিয়ালটি আর তাদের রুচিতে বাধে না। যে গল্প নিয়ে শুরু হয়েছিল সিরিয়ালটি তার বিন্দুমাত্র এখনও দেখানো হয়নি। নানান অভযোগ আসে।

 কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় দর্শকদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন। সাংবাদিকদের জানান, “দর্শক কেন এই রিগ্রেসিভ জিনিসগুলোকে দেখে টিআরপি বাড়াতে সাহায্য করে? দর্শক এই জিনিসগুলি বিভোর হয়ে দেখেন বলেই আমায় করতে হয়। আপনারা এসব নোংরা জিনিস দেখা বন্ধ করুন টেলিভিশনে আর দ্বিতীয় দিন থেকে নোংরা জিনিস দেখাবে না।

আরও পড়ুন -  Anindya Chatterjee: প্রথম পুরস্কার অভিনয় জীবনেঃ অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়

যখন আমি আয় তবে সহচরী তো কাজ শুরু করি তখন সিরিয়ালটি যথেষ্ট ভাল ছিল। এই সিরিয়ালে মাত ভাবনাচিন্তা খুব কম সিরিয়াল করতে সাহস পেয়েছিল। একটি মধ্যবয়স্কা মেয়ের পড়াশোনার সাথে তার স্বপ্ন পূরণ এই গল্প আমাকে খুব ভাবিয়েছিল। নির্মাতা এবং চ্যানেল উভয়ই আপ্রাণ চেষ্টা করছেন যাতে গল্পের মান আবার আগের মত ফিরিয়ে আনা যায়। কিন্তু সমস্যা হল ভালো জিনিস দেখালে টিআরপি পড়ে যাচ্ছে। দিনের শেষে আমাদের অর্থলাভ টিআরপি থেকেই হয়। তাই এই জিনিসটিকে বাদ দিয়ে ভাবে চলবে না। যদি সহচরী কলেজ যেতে শুরু করে আবার দর্শক টিভি বন্ধ করে দেবেন।”

আরও পড়ুন -  দ্বিতীয়বারের জন্য বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হলেন, রানীবাঁধ বিধানসভা কেন্দ্রের জ্যোৎস্না মান্ডি

 সহচরী এখন পুরোপুরি পরকীয়ায় পরিপূর্ণ একটি সিরিয়াল। এই অভিযোগে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোমের কলোসিয়ামের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। যেখানে অপরজনের ক্ষতি দেখে অন্যজন হাততালি দিত। আমরা এতগুলো বছর পার করেও সেই একই ভাবনাচিন্তায় পড়ে আছি। আমরা শুধু শিক্ষিত মানুষের মুখোশ পড়ি। মেয়েরা যত নোংরা পাঁকে নামে আমরা তত আনন্দ উপভোগ করি।

আরও পড়ুন -  Gantchora: নায়কের হাত লেগে সিঁদুর উড়ে এসে পড়ল নায়িকার কপালে, ট্রোল গাঁটছড়া

 ইন্ডাস্ট্রিতে মেয়েরা কি সম্পূর্ণভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণা হতে পেরেছে? এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানান, “বলিউডে যেভাবে নারীকেন্দ্রিক কাজ হয় আমাদের এখানে এখনও সেই রকম কাজ হয়না। কিছু মুষ্টিমেয় অভিনেত্রীরাই সেরকম কাজ করার সুযোগ পান কারণ তাদের পরিচিত মহলে অধিকাংশই প্রডিউসার।