এই প্রজন্মের নায়িকা অধরা খান। দেশে আসার একমাত্র কারণ ছিলো দেশের মাটিতেই ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ অর্থাৎ ‘২১শে ফেব্রুয়ারি’ উদযাপন করা। সেই হিসেবে দেশে এসে আন্তর্জাতিক এই দিনটি নিজের মতো করে উদযাপন করেছেন। তবে এখন তার শুধুই অপেক্ষা নতুন সিনেমার জন্য।
অধরা জানান, আগামী মার্চ মাসের শেষের দিকে নতুন একটি সিনেমার কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন। আপাতত বিস্তারিত কিছুই জানান দিতে চাইছে না। কারণ, যদি প্রজেক্টটা শুরু না হয় তাহলে শুধু শুধুই এই নিয়ে কথা বলা। তাই সবকিছু যখন চুড়ান্ত হবে, তখনই তিনি জানাবেন। যদি তাই হয় তাহলে ২০২২ সালে এটিই হবে তার প্রথম কাজ।
আগামী জুন মাসে আবারও শুরু হবে কলকাতার সিনেমা কারুনাক্কার পরিচালিত নাম ঠিক না হওয়া সিনেমার কাজ। নানান জটিলতায় সিনেমার কাজটি আবারও শুরু হবার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা পিছিয়ে গিয়েছে। অধরা খান অভিনীত এখন পর্যন্ত তিনটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে।
সিনেমাতে অভিনয় এবং সমসাময়িক অন্যান্য প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র নিয়ে নিজের উপলদ্ধি প্রসঙ্গে অধরা বলেন, ‘চলচ্চিত্রে অভিনয় করা আমার কাছে মনে হয় ভীষণ সাধনার বিষয়। এখানে অনেক চেষ্টা, শ্রম ও সাধনা দিয়ে নিজের অভিনয় দিয়ে একটি অবস্থান তৈরী করে নিতে হয়। অভিনয়ের প্রতি শতভাগ ভালোবাসাটা থাকতে হয়। মূলকথা এটি একটি পবিত্র জায়গা। এই পবিত্র জায়গায় কাজ করতে হলে নিজের মনটাও শতভাগ পবিত্র রেখেই কাজ করতে হয়।
অনেক আরাধনার পর একজন শিল্পী দর্শকের ভালোবাসার একজন হয়ে উঠেন। তাই চলচ্চিত্র আমার পবিত্র এক স্থান, যেখানে আমি আমার নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে এসেছি মন থেকেই। সবচেয়ে বড় কথা হলো কোন কাজের প্রতি পরম ভালো লাগা ভালোবাসা থেকে কেউ আসে এবং সেই কাজেই তিনি আজীবন থেকে যান তার পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে তাহলে সেখানে তিনি শতভাগ সফল হন-এটা আমার বিশ্বাস। আমি অবশ্যই গর্ববোধ করি চলচ্চিত্রের একজন কর্মী হিসেবে।’
অধরা খান অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলো হচ্ছে ইস্পাহানী আরিফ জাহানের ‘নায়ক’ , আব্দুর রহিম বাবুর ‘মাতাল’ ও আতিকুর রহমান লাভলু’র ‘পাগলের মতো ভালোবাসি’। মুক্তির অপেক্ষায় আছে সৈকত নাসিরের ‘বর্ডার’। শুটিং শুরু হয়েও আপাতত বন্ধু আছে অপূর্ব রানা’র ‘গিভ অ্যান্ড টেক’ ও সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের ‘কোভিড নাইনটিন ইন বাংলাদেশ’।