১৩ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের দায়ে, এক শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার একটি আদালত

Published By: Khabar India Online | Published On:

১৩ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের দায়ে এক শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার একটি আদালত। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় দেওয়া হয়।

পশ্চিম জাভা শহর বান্দুংয়ের জেলা আদালত হ্যারি উইরাওয়ান নামের ওই শিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করেন। জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার হওয়া শিক্ষার্থীরা কিশোরী। তাদের মধ্যে আটজন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

মামলায় বলা হয়েছ, ওই শিক্ষক পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করে। এসব শিক্ষার্থী দরিদ্র পরিবারের এবং শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে স্কুলে পড়তে গিয়েছিল।

আরও পড়ুন -  বড়দিন ও তার আগের দিনের নিরাপত্তা নিয়ে তৎপর কলকাতা পুলিশ

গতবছর ওই শিক্ষককের এসব নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ পায়। এক শিক্ষার্থীর পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ করে, যে তাদের কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে এবং সে অন্তঃসত্ত্বা। এই ঘটনা দ্রুত জানাজানি হয়। সরকারের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো ঘটনাটির প্রতি গুরুত্ব দেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন।

প্রসিকিউটররা অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে খোজা করে দেওয়া এবং মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছিলেন। আদালত রায়ে ৩৬ বছর বয়সী শিক্ষক উইরাওয়ানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে রায়ে।

আরও পড়ুন -  অত্যাধুনিক মানের চিকিৎসা পরিষেবা

দেশটির জাতীয় শিশু-কিশোর সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সুসান্তো বলেছেন যে মঙ্গলবারের রায়ে স্পষ্ট হলো যে ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার করা হয়েছে।

দেশটিতে ২৫ হাজারের বেশি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল রয়েছে যেগুলো ‘পেসান্ট্রেন’ নামে পরিচিত। এসব স্কুলে থেকে পড়াশোনা করে প্রায় ৫০ লাখের কাছাকাছি শিক্ষার্থী।

গতবছর দক্ষিণ সুমাত্রার বোর্ডিং স্কুলের দুই শিক্ষককে একই অভিযোগে আটক করা হয়। ২৬ ছাত্রকে নির্যাতন করার অভিযোগ ছিল তাদের বিরেুদ্ধে। এর আগে ২০২০ সালে পূর্ব জাভায় ১৫ নারী শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের দায়ে বোর্ডিং স্কুলের এক নেতার ১৫ বছরের কারাদণ্ড হয়।

আরও পড়ুন -  TRAI-এর নতুন গাইডলাইন, ডাবল সিম ব্যবহারকারীদের জন্য বড় খবর

প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো গত মাসে ‘যৌন সহিংসতা দূরীকরণ’ সংক্রান্ত একটি বিল অনুমোদনের জন্য পার্লামেন্টকে আহ্বান জানান। যে আইনে যৌন অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই এবং ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ এর ঘটনাসহ ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ২০১৬ সালে আইনটির একটি খসড়াও করা হয়। কিন্তু সেটি আর কার্যকর হয়নি।

সূত্র: এএফপি, এনডিটিভি