কয়েকদিন ধরে ব্যাপকভাবে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। করোনার ডেল্টা ধরনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, সোমবার ৩৩ হাজার ৭৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এক সপ্তাহ আগেও এ সংখ্যা ছিল ১০ হাজারের মধ্যে।
দেশে গত সাত দিনে করোনার দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে ৪৩০ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
২৮ ডিসেম্বরের পর থেকেই দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ২৮ ডিসেম্বর আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৩৫৮ জন। এর মাত্র সাত দিন পর, অর্থাৎ ৩ জানুয়ারি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় পৌঁছেছে ৩৩ হাজার ৭৫০-এ।
করোনায় সোমবার প্রাণ গেছে ১২৩ জনের। দেশে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগী আছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮২ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০ হাজার ৮৪৬ জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ওমিক্রন আক্রান্ত ১ হাজার ৭০০ জনে পৌঁছেছে। সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্র রাজ্যে ৫১০ জনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা দিল্লিতে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে ৩৫১ জনের। এরপরই সংক্রমণের দিক থেকে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গে একদিনে মোট ৬ হাজার ১৫৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এই আবহে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধও জারি করেছে রাজ্য সরকার।
করোনা বাড়ার জেরে বিভিন্ন রাজ্যে নতুন করে বিধিনিষেধও আরোপ করা হয়েছে। অনেক রাজ্যে নৈশ কারফিউ জারি করা হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে করোনার টিকা প্রদানের ওপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। ১৫ থেকে ১৮ বছরের কিশোর-কিশোরীদের টিকার আওতায় আনা হচ্ছে। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে টিকাকরণ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কিশোর-কিশোরীদের এ টিকাকরণে বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন অনুমোদন দিয়েছে, যা ২৮ দিনের ব্যাবদানে দুই ডোজ দিতে হবে।