‘জীবনে প্রথমবার মদ খেয়েছিলাম শুভেন্দুর বাবার সঙ্গেই,’ কিন্তু কেন এমন মন্তব্য?

Published By: Khabar India Online | Published On:

রাজনীতি মানেই, ‘এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায় দেখ’। রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে অনবরত চলতে থাকে তর্ক বিতর্ক। তর্কে কে কাকে টেক্কা দেবে তা নিয়ে হামেশাই লেগে থাকে শোরগোল। গত মঙ্গলবার ঘটল এমনই এক কান্ড। এদিন শুভেন্দু অধিকারী কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে ‘মাতাল’ বলে সম্বোধন করেন। এর পরেই মঙ্গলবার খড়্গপুরে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে নাম না করেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন পাল্টা জবাব দেন মদন মিত্র।

আরও পড়ুন -  Violence Against Women: নারী নির্যাতনের সংখ্যা বাড়ছে, গোটা রাজ্যের সাথে জলপাইগুড়িতে

কালারফুল বয় তথা মদন মিত্র রাজ্যের বিরোধী দলনেতার উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ‘কামারহাটির বিধায়ক পদ ত্যাগ করে ২৯৪ আসনের যে কোনও আসনে তিনি লড়তে রাজি যদি বিপক্কে থাকেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এরপর এদিন বিকালেই মদন মিত্রের মন্তব্যের জবাব দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘একজন পরিচিত মাতালের কথার উত্তর দেওয়া খুবই মুশকিল ব্যাপার। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানেন যে উনি একজন পরিচিত মাতাল। ‘

এবার বিরোধী দলনেতার ‘মাতাল’ সম্বোধনের পাল্টা জবাব দিলেন মদন মিত্র। এদিন মদন মিত্র বলেন, ‘জীবনে প্রথমবার মদ খেয়েছিলাম শুভেন্দুর বাবার সঙ্গেই। ওর বাবা শিশির অধিকারীর থেকেই মদ খাওয়া শিখেছিলাম। কী যেন একটা ব্র্যান্ড খাইয়েছিল। আমরা যাচ্ছিলাম কেশপুরের দিকে। সেই সময় শিশির দা শিবাস না ফিবাস কী যেন একটা মিশিয়ে খাইয়ে দিয়েছিলেন। আমি তো খেয়েই প্রায় বমি করে ফেলেছিলাম।’

আরও পড়ুন -  এ বছর অক্টোবর মাসে জিএসটি বাবদ মোট রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ১ লক্ষ ৫ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা

এদিকে কামারহাটি বিধায়ককে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ- সভাপতি দিলীপ ঘোষও। মদন মিত্রকে ‘কমেডিয়ান’ বলে আখ্যা দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ- সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মদন মিত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘উনি তো সকালে একরকম কথা বলে আর রাত বাড়লে অন্য রকম কথা বলেন। ওনার সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছুই নেই। বাংলার মানুষ ওনাকে ভালো করেই চেনেন।’ শুভেন্দু অধিকারীকে মদন মিত্রের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান, শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়ে দিয়েছেন, সেই দুঃখ সহ্য করতে না পেরেই উনি উল্টোপাল্টা বলছেন।’

আরও পড়ুন -  বড় সুখবর ১.৮৯ কোটি পরিবারের জন্য, বাজেটে ঘোষণা করলো মোদী সরকার