Aay Tobe Sohochori: ধারাবাহিকে খাবার নষ্টের এই দৃশ্য নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দর্শকদের মধ্যে শ্বশুরবাড়ির লোককে জব্দ করতেই

Published By: Khabar India Online | Published On:

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলির মধ্যে অন্যতম হল ‘আয় তবে সহচরী’। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছে এই ধারাবাহিক। বর্তমানে প্রতিটি ধারাবাহিকপ্রেমী মানুষের পছন্দের তালিকায় রয়েছে এই ধারাবাহিক। ভিন্ন স্বাদের গল্পের জন্য আরও বেশি দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে স্টার জলসার এই নতুন ধারাবাহিক। ধারাবাহিকে বরফির চরিত্রে অরুনিমা হালদারের অভিনয় শুরু থেকেই নজর কেড়েছে দর্শকদের। কনীনিকা ব্যানার্জীর সাথে অর্থাৎ বরফির সাথে তার সই মায়ের মিষ্টি রসায়ন বেশ পছন্দ হয়েছে দর্শকদের।

ধারাবাহিকে শ্বশুরবাড়িতে বরফিকে তার সই মা ও শ্বশুরবাড়ির হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া কেউই মেনে নেয়নি। এমনকি তার স্বামী টিপুও সহ্য করতে পারে না তাকে। বরফি শুধুমাত্র তার সই মাকে শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য এবং তার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিয়ে করে তার কাছে চলে এসেছে।

আরও পড়ুন -  Dipanwita Rakshit: রাস্তায় ‘ডুব গায়ি মে তুঝমে’ গানে তুমুল নাচলেন পর্দার খুকুমণি, ভাইরাল ভিডিও

বিয়ের ২৫ বছর পরে এক বছর ৫০’এর মহিলা তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে গিয়ে নিজের পড়াশোনা করার ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়েছে। আর তার সেই লড়াইতেই তার পাশে থাকতে চেয়েছে বরফি। ঘটনাচক্রে তার কলেজের সহপাঠী সহচরীর ছেলের সাথেই তার বিয়ে হয়ে যায়। তবে এখনো শ্বশুরবাড়ির বেশিরভাগ লোকজন তাকে মেনে নেয় নি। বারে বারে তাকে বাড়ি থেকে তাড়ানোর জন্য ফন্দি এঁটে চলেছে তারা।

 ধারাবাহিক অনুযায়ী বরফি’র ভাত-কাপড়ের অনুষ্ঠানের দিন তার কাছ থেকে ফোন নিয়ে নেয় তার শাশুড়ি ও ননদরা। সহচরী কলেজে যাওয়ায় তার না থাকার সুযোগে তাকে রান্নাঘরে আটকে দেয় সকলে মিলে। পরে তার মামা ও মামী সহায়তায় কোনরকমে রান্না শেষ করে বরফি। এরপরে সেই রান্নায় নুন মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন কিন্তু শেষপর্যন্ত তাদের সেই পরিশ্রম বিফলে যায়। সেই কথা বরফি জেনে যাওয়ার পরেই তাদের শায়েস্তা করার বুদ্ধি আঁটে।

আরও পড়ুন -  উদ্বোধন হল সেফ হোম, বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় এর উদ্যোগে ও সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতায়

পাড়ার সকলে তার হাতের রান্না খেয়ে তার গুণগান করতে থাকে। এরপরে টিপু তার ভাত কাপড়ের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করায় সে কায়দা করে টিপুকে দিয়ে ঠিক পালন করিয়ে নেয় সেই নিয়ম। এরপর শশুর বাড়ির সকলকে খেতে ডেকে এনে খাবার টেবিলে ভাত দেয়। আর তারপরেই ঘটে সেই ঘটনা। তারা ভাত খেতে গিয়ে দেখে ভাতের তলায় ছাই পড়ে। সেই ছাই মাখা ভাত বরফি খেতে বাধ্য করে তাদের। এই দৃশ্য দেখানোর পর থেকেই খাবার নষ্ট করার বিষয় নিয়ে বিতর্ক ওঠে দর্শকমহলে।

আরও পড়ুন -  আসানসোলে নির্বাচন কমিশনের প্রশাসনিক ভবনে মনোনয়ন পত্র জমা করলেন প্রার্থীরা

এই দৃশ্য টিভির পর্দায় সম্প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই ধারাবাহিক অনুরাগীদের একাংশ জানিয়েছেন খাবার নষ্ট করার এমন দৃশ্য না দেখানোই উচিৎ ছিল। আবার অনেকে বলেছেন, একটি ধারাবাহিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা করা দরকার তা করতেই হবে। আর এমন শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে শায়েস্তা করার জন্য এমন কাণ্ড ঘটান কোন বাড়াবাড়ি নয়।