স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি, সব বীরাঙ্গনা ও ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের বীরত্বের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন তিনি।
এক টুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, (বাংলাদেশের) ৫০তম বিজয় দিবসে আমি মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সাহসী সদস্যদের মহান বীরত্ব ও আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করছি। আমরা একসঙ্গে অত্যাচারী শক্তির বিরুদ্ধে লড়েছি এবং পরাজিত করেছি।
বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিববর্ষের সমাপ্তি এবং বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে সস্ত্রীক ঢাকা সফরে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তার এই সফর প্রত্যেক ভারতীয়র কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেও টুইটারে উল্লেখ করেছেন নরেন্দ্র মোদী।
এদিন বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, বিরোধী দল কংগ্রেসও।
বাংলায় লেখা এক টুইটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ৫০তম বিজয় দিবস উদযাপনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে নিপীড়ন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের বীরত্বপূর্ণ লড়াই আমাদের সবসময় অনুপ্রাণিত করবে।
আরেক টুইটে রাষ্ট্রপতির ঢাকা সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রপতির এই সফর আমাদের গভীর বন্ধুত্ব ও অভিন্ন আত্মত্যাগের মাধ্যমে তৈরি বিশেষ বন্ধনকে প্রতিফলিত করে।
বিজয় দিবস নিয়ে একাধিক টুইট করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাদের অংশগ্রহণের বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছেন তিনি।
৫০তম বিজয় দিবসে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে, বর্তমান প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় কংগ্রেস। অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া পোস্টে তারা বলেছে, আজ থেকে ৫০ বছর আগে জনগণের ইচ্ছার জয় হয়েছিল, সাহসীদের বীরত্ব জিতেছিল, একজন প্রকৃত নেতার দৃঢ়তা জয়ী হয়েছিল, মানবতার জয় হয়েছিল। এরপর থেকে বাংলাদেশ যে বিশাল অগ্রগতি অর্জন করেছে তার জন্য এই বিজয় দিবসে আমরা তাদের অভিনন্দন জানাই এবং আমাদের সাহসী বীর ও শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে স্মরণ করি।