মদন মিত্র মানেই রাজনীতির মুচমুকচে খবর। বাংলার রাজনীতির কুল সুপারস্টার বললে কিছু কম নয়। রঙিন মেজাজের কামারহাটি বিধায়ক মদন মিত্রকে নিয়ে চর্চা কখনই কম হয় না। রাজনীতির ময়দানে তিনি যতটা জনপ্রিয়, ঠিক ততটাই তাঁকে নিয়ে চর্চা চলে রাজনীতির বাইরে টলিপাড়াতে। বেশিরভাগ সেলিব্রেটির প্রিয় মানুষ হলেন মদন মিত্র। মদন বাবুর মহিলা অনুগামী সংখ্যা নেহাত কম না। কখনও জিম থেকে ‘কুল’ লুকে ছবি পোস্ট করেন তো কখনী সহজ সরলভাবে নিজের মতো করে গান বাঁধেন।
টলিপাড়ায় এখন মদন বাবুর বেশ কদর। কখনো মদন মিত্রের স্ত্রী অর্চনা মিত্রকে কখনো কেউ সেভাবে পর্দাতে দেখা যায়না। লাইমলাইট থেকে সর্বদা দূরে থাকা অর এবার ক্যামেরার সামনে দাঁড় করালেন সকলের প্রিয় দিদি রচনা। জি বাংলার এই সঞ্চালিকার হিট গেম শো ‘দিদি নম্বর ১’-এর মঞ্চে ধরা দিলেন সস্ত্রীক মদন মিত্রর। যা দেখে সকল দর্শকরা বলছেন ‘ওহ লাভলি’। রচনার ডাকেই সাড়া দিয়ে প্রথমবার স্ত্রী কে সাথে নিয়ে দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে দেখা গেল। সত্যি কথা বলতে গেলে এই অসাধ্যসাধন বোধহয় রচনার পক্ষেই সম্ভব।
একদিকে রাজ্যে জাঁকিয়ে শীত পড়েছে অন্যদিকে এগিয়ে আসছে ক্রিস্টমাস আর বর্ষ বরণ। তাই সকলে এখন ব্যস্ত পিকনিক করতে। তাই সকলের মতোই দিদি নাম্বার ওয়ানেও চলছে এখন জমজমাট পিকনিক স্পেশাল পর্ব। আর এই সিজনের এক বিশেষ পর্বে এবার রচনা বন্দোপাধ্যায়ের ডাক পেয়ে উচ্ছ্বসিত মদন আর অর্চনা দেবী। তবে এদিন খানিকটা অভিমান করেই মিষ্টি অনুযোগের সুরে মদনবাবু বলেন , ‘অপেক্ষায় ছিলাম, কবে রচনার শো-তে ডাক পাব! অভিমানও হত, রাজনীতি করি বলেই কি আমাদের ডাকেন না রচনা? আজ আর আমার কোনও অভিমান নেই!’
View this post on Instagram
রসিকতার দিক থেকে স্বামীর থেকে কম যান না অর্চনাও। তাঁকে সঞ্চালিকা রচনা মজা করেই প্রশ্ন করেন, ‘দাদার চারপাশে এত সুন্দরীদের ভিড়। আপনি কখনও থাকেন না। ভয় হয় না?’’ উত্তরে অর্চনার সটান জবাব, ‘ঘুড়ি যতই উড়ুক, লাটাই তো আমার হাতে!’ এরপরেই সঙ্বাংলা রাজনীতির কালারফুল বিধায়কের মুখে শোনা যায় সেই বিখ্যাত সংলাপ, ‘ওহ! লাভলি…।’
উল্লেখ্য মদন মিত্র ছাড়াও এই বিশেষ পর্বে থাকবেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাবুল সুপ্রিয়ও। তিনিও সঞ্চালিকা রচনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ৷ তিনি আবার রসিকতা করে বলেন ‘এত সুন্দরী নায়িকা। আমি রচনার অন্যতম গুণমুগ্ধ। ওই জন্যেই রচনা নামের মেয়েকেই বিয়ে করেছি!’ এই দুই শক্তিশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি এই পর্বে থাকবেন সস্ত্রীক শিবাজি চট্টোপাধ্যায় এবং রাঘব চট্টোপাধ্যায়। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন নচিকেতাও। আগামী ২১শে ডিসেম্বর টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যাবে।