ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য নাগাল্যান্ডে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ১৩ জন বেসামরিক গ্রামবাসী নিহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানের সময় ‘ভুল করে’ বিদ্রোহী ভেবে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী গ্রামবাসীদের ওপর গুলি চালালে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর এক জওয়ানেরও মৃত্যু হয়েছে। গ্রামটি মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত। নাগাল্যান্ডের মন জেলার সাথে মিয়ানমারের বিশাল সীমানা রয়েছে।
সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে নাগাল্যান্ডের তিরু-ওটিং রোডে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। সেই সময় স্থানীয় গ্রামবাসীদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে নিরাপত্তা বাহিনী। একপর্যায়ে নিরাপত্তা বাহিনী গুলিবর্ষণ শুরু করে। গুলিতে গ্রামবাসীরা নিহত হলে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।
পুলিশের দাবি, ‘আত্মরক্ষার’ জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে গুলিবর্ষণ করতে হয়েছে। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা।
এদিকে বিদ্রোহ বিরোধী অভিযান চালানোর সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে গ্রামবাসীদের প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম টুইটারে দেয়া এক বার্তায় একে ‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়া নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এই ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও।
Anguished over an unfortunate incident in Nagaland’s Oting, Mon. I express my deepest condolences to the families of those who have lost their lives. A high-level SIT constituted by the State govt will thoroughly probe this incident to ensure justice to the bereaved families.
— Amit Shah (@AmitShah) December 5, 2021
একইসঙ্গে এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এছাড়া এক বিবৃতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ‘নাগাল্যান্ডের ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হবে। দোষীদের আইন অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে।’