প্রদীপ জ্বালানোর আগেই সাধারণ মানুষের মাথায় বাজ পড়লো। পেট্রোল এবং ডিজেলের পর পাল্লা দিয়ে বাড়ল এলপিজি গ্যাসের দাম। বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাসের দাম সিলিন্ডার প্রতি ২৬৫ টাকা বেড়েছে। এই দামবৃদ্ধিতে রীতিমত মাথায় হাত বিভিন্ন রেস্তোরা ব্যবসায়ীদের। করোনা আবহে অগ্নিমূল্য। দিন যত যাচ্ছে বাজারে আগুন লেগেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হু হু করে বেড়েই চলেছে। এঅ অগ্নিমূল্য বাজারে হেঁশেলে আগুন লাগল মধ্যবিত্তের।
মাসের শুরুতে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম ২৬৫ টাকা বেড়েছে। তবে আশার আলো একটাই দাম বাড়ানো হয়নি ডোমেস্টিক সিলিন্ডারে। দিল্লিতে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম ২০০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। আগে সিলিন্ডার প্রতি দাম দিতে হত ১৭৩৩ টাকা। মুম্বইতে, ১৯ কেজি বাণিজ্যিক সিলিন্ডার, যা ১৬৮৩ টাকায় বিক্রি হত। নভেম্বরের দাম বৃদ্ধির পরে এখন তার দাম ১৯৫০ টাকা। কলকাতায়, ১৯ কেজি বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম এখন ২০৭৩.৫০ টাকা। চেন্নাইতে সিলিন্ডার প্রতি দাম দিতে হবে ২১৩৩ টাকা।
কালীপূজোর ঠিক আগে আগে মহালয়ার দিনই দাম বৃদ্ধি করা হয় বাণিজ্যিক গ্যাসের। ১৯ কেজি সিলিন্ডারের দাম এক ধাক্কায় ৪৩ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। এই দামবৃদ্ধির ফলে দিল্লিতে ১৯ কেজি বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হয়েছিল ১ হাজার ৭৩৬ টাকা ৫০ পয়সা। কলকাতায় এই গ্যাসের দাম বেড়ে হয়েছিল ১ হাজার ৮০৫ টাকা ৫০ পয়সা। পুজোর সময় সাধারণত বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাসের চাহিদা বেশি থাকে।
ডোমেস্টিক সিলিন্ডারের দামে কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি। দিল্লিতে, একটি ১৪.২ কেজি ভর্তুকি ছাড়া এলপিজি সিলিন্ডার ৮৯৯.৫০ টাকায় বিক্রি হয়। উল্লেখ্য, গত মাসে ৬ইঅক্টোবর ডোমেস্টিক এলপিজির দাম বাড়ানো হয়েছিল। কলকাতায়, ১৪.২ কেজি ডোমেস্টিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৯২৬ টাকা এবং চেন্নাইতে এর দাম ৯১৫.৫০ টাকা।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর থেকে বিগত আট মাসে ধাপে ধাপে গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম দফায় দফায় ৩০০ টাকার বেশি বেড়েছে। আর এতেই মাথায় হাত অনেকের। গ্যাসে রান্নার আগে দামেই ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে। কেন বারবার বাড়ছে গ্যাসের এই দাম, প্রশ্ন ক্রেতাদের। কেন্দ্রের দাবি এলপিজি-র মূল উপাদান প্রোপেন, বুটেনের দাম রীতিমত বাড়ছে। তাই রান্নার গ্যাসের দাম বাড়াতেই হচ্ছে।
তবে রান্নার গ্যাসের দাম একদিকে বাড়লেও কমছে ভর্তুকির পরিমাণ।