সদ্য সমাপ্ত অক্টোবর মাসে জিএসটি বাবদ রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ১২৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে সিজিএসটি বাবদ ২৩ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা, এসজিএসটি বাবদ ৩০ হাজার ৪২১ কোটি টাকা, আইজিএসটি খাতে ৬৭ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা (পণ্য সামগ্রী আমদানি থেকে ৩২ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা সহ) এবং সেস বাবদ ৮ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা (পণ্য সামগ্রী আমদানি থেকে ৬৯৯ কোটি টাকা সহ) সংগ্রহ হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে নিয়মিত প্রাপ্য বকেয়া হিসাবে আইজিএসটি খাতে সংগ্রহ থেকে সিজিএসটি বাবদ ২৭ হাজার ৩১০ কোটি টাকা এবং এসজিএসটি বাবদ ২২ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা মিটিয়েছে। সদ্যসমাপ্ত অক্টোবর মাসে প্রাপ্য বকেয়া মেটানোর পর কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মোট রাজস্বের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সিজিএসটি বাবদ ৫১ হাজার ১৭১ কোটি টাকা এবং এসজিএসটি বাবদ ৫২ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা।
সদ্যসমাপ্ত অক্টোবর মাসে জিএসটি বাবদ রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের একই মাসের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেড়েছে। আলোচ্য মাসে পণ্য সামগ্রী আমদানি থেকে রাজস্বের পরিমাণ ৩৯ শতাংশ এবং দেশীয় লেনদেন (পরিষেবা আমদানি সহ) থেকে রাজস্ব ১৯ শতাংশ বেড়েছে।
জিএসটি ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ার পর গত অক্টোবর মাসে রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। চলতি এপ্রিল মাসে এই সংগ্রহের পরিমাণ এ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এ থেকেই অর্থ-ব্যবস্থায় পুনরুদ্ধারের প্রবণতা প্রতিফলিত হয়। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ-এর সময় প্রতি মাসে যে পরিমাণ ই-ওয়ে বিল তৈরি হয়েছে, তা থেকেও রাজস্ব সংগ্রহে বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়।
রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধির আরও একটি কারণ হ’ল বিগত মাসগুলিতে কর মান্যতার ক্ষেত্রে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় কর প্রশাসনগুলির বিশেষ প্রয়াস। ব্যক্তিগত কর প্রতারকদের বিরুদ্ধে যে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তার পেছনে রয়েছে জিএসটি পরিষদের বিবিধ ব্যবস্থা। এছাড়াও, জিএসটি পরিষদ পুরনো রিটার্ন দাখিল এবং আপ টু ডেট রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে লেট ফি বা বিলম্ব মাশুল প্রত্যাহার করায় করদাতাদের সুবিধা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই জিএসটি রাজস্ব খাতেও এর প্রভাব পড়েছে। অন্যদিকে, বিগত মাসগুলিতে বিপুল সংখ্যায় করদাতারা কর জমা করেছেন। কোভিড জনিত পরিস্থিতিতে কর মান্যতার ক্ষেত্রে যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে গত জুলাই মাসেই দেড় কোটি রিটার্ন দাখিল হয়েছে।
মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সদ্যসমাপ্ত অক্টোবর মাসে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ৪ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা, যা গত বছরের ঐ একই মাসের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি। সূত্রঃ পিআইবি