শুরুতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো আফগানিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী ও পেসার গুলবাদিন নাইবের ব্যাটে চড়ে ১৪৮ রানের সংগ্রহ পায়। কিন্তু রশিদ-মুজিবদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও শেষ রোমাঞ্চকর হলেও জয়ে রাঙান আসিফ আলী। তার ১৯তম ওভারে চারটি ছক্কা ৬ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নরা। তাতেই টানা তিন জয়ে সেমিফাইনালের পথে আরেক ধাপ এগোনোর পাশাপাশি শীর্ষস্থানও ধরে রাখে বাবর আজমরা।
শুক্রবার আবুধাবিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাজে শুরু পায় আফগানরা। দলীয় ৭ রানে শূন্য রান করে ফিরেন হযরতুল্লাহ জাজাই। খুব বেশি সময় থাকতে পারেননি মোহাম্মদ শেহজাদও (৮)। পরে হারিস রউফ-হাসান আলির আঘাতে প্রথম ১০ ওভারে ধুঁকতে থাকে আফগানরা।
৩২ বলে অধিনায়কোচিত ৩৫ রানের পাশাপাশি ২৫ বলে ৪ চার ১ ছয়ে ৩৫ রানে দারুণ ভাবে ম্যাচে ফিরে আফগানরা। পাকিস্তানের হারিস রউফ আর হাসান আলীকে যথাক্রমে ১৮ ও ২০ রানের ওভারে দ্রুত রান তুলে নেন নবী-নাইবরা। তাতেই লড়াকু সংগ্রহ পায় তারা। বল হাতে দুর্দান্ত শেষ করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৪ ওভারে মাত্র ২২ রানে নেন ১টি উিইকেট। দুটি উইকেট নেন ইমাদ ওয়াসিম।
খুব ভালো শুরু করতে পারেনি পাকিস্তান। দলীয় ১২ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ৮ রান করে ফেরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।মোহাম্মদ নবীর শিকার হন ফখর জামান (৩০)। পরে হাফিজকে বেশি সময় থাকতে দেননি রশিদ খান। আফগান স্পিনার তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১০০তম উইকেট।
আবার বাবর আজমকে বোল্ড করে ফেরান রশিদ খান। ফেরার আগে পাকিস্তান অধিনায়ক করেন ৪৭ বলে ৫১ রান। ১৫ বলে ১৭ রান করে শোয়েব ফিরলে চাপে পড়ে পাকিস্তান। কিন্তু শেষের দিকে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান আসিফ আলী। ৬ বলে ৪ ছয়ে অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে। শেষ ওভারে জানাতকে চারটি ছক্কা মেরে ১ ওভার হাতে রেখেই ৫ উইকেটের দারুণ জয় পায় পাকিস্তান। ৪ ওভারে ২৬ রানে দুটি উইকেট নেন রশিদ খান।