T-20: ৫ কারণে ভারতের এমন লজ্জার হার

Published By: Khabar India Online | Published On:

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে পাকিস্তানের রেকর্ডের দিনে লজ্জাজনক হার দেখল বিরাট কোহলির ভারত। বিশ্বকাপ মঞ্চে ভারতের বিপক্ষে কোনো জয়ই ছিল না পাকিস্তানের। সেই পাকিস্তানই বিরাট কোহলিদের ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছে।

 ওপেনারদের ব্যর্থতাঃ  প্রথম বলেই আউট হন রোহিত শর্মা। তৃতীয় ওভারেই শাহিন আফ্রিদির সুইংয়ের কাছে পরাস্ত হন কেএল রাহুল। তার ফলে ২.১ ওভারে ছ`রানে দু`উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। সেই চাপ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি কোহলিরা।

আরও পড়ুন -  Vikrant: ভারত, দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী উদ্বোধন করলো

ইনিংস শেষ করতে ব্যর্থতাঃ  প্রাথমিক ধাক্কা সামলে দলকে একটা মোটামুটি জায়গায় নিয়ে যান বিরাট কোহলি এবং ঋষভ পন্ত। কিছুটা আগে পন্ত আউট হয়ে গেলেও বিরাট প্রায় শেষপর্যন্ত ছিলেন। কিন্তু শেষের দিকে সেভাবে হাত খুলতে পারেননি। শেষ পাঁচ ওভারে মাত্র ৪১ রান ওঠে। হারায় তিন উইকেট। যেরকম শুরু করেছিল ভারত, তাতে শেষের পাঁচ ওভারে আরও বেশি রান দরকার ছিল।

বোলারদের ব্যর্থতাঃ  ম্যাচে থাকতে শুরুতেই উইকেট তুলতে হত।  কিন্তু সেই কাজটাই করতে ব্যর্থ হন ভুবনেশ্বর কুমার, মোহাম্মদ শামিরা। তাঁদের হাত থেকে এমন বল বের হয়নি, যা থেকে উইকেট আসতে পারে। বরং পাকিস্তানিদের ভুলের অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। একমাত্র জসপ্রীত বুমরাহ মাঝেমঝ্যে অস্বস্তিতে ফেলেন বাবর আজমদের।

আরও পড়ুন -  স্বাধীনতা দিবসে এক যোগদান শিবির অনুষ্ঠিত হলো

 বিরাট কোহলির নীতি ও ষষ্ঠ বোলার ধাঁধার সমাধান করতে না পারাঃ   চার বোলার এবং এক অল-রাউন্ডার নিয়ে নামেন কোহলি। ফলে বোলিংয়ের ক্ষেত্রে তাঁর হাত-পা পুরোপুরি বাঁধা পড়ে যায়। যখন কোনও বোলার কাজে দিচ্ছেন না, তখনও কোনও পরীক্ষার পথে যেতে পারেননি।

আরও পড়ুন -  IND vs PAK: ভারত ও পাকিস্তান ভক্তদের বড় খবর, ২০২৩ বিশ্বকাপে পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে

 কোহলির জেদে হার্দিক পান্ডিয়ার অন্তর্ভুক্তিঃ  ব্যাটার হিসেবেই হার্দিক যে খেলবেন,  তা আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বিরাট। তাঁর জেদের মাশুল গুনতে হয়েছে ভারতকে। ব্যাটার হার্দিককে নামানো হল রবীন্দ্র জাদেজার পরে। সেইসঙ্গে হার্দিক কাঁধে চোট নিয়ে উঠে যান। থাকলেও অবশ্য বল করতে পারতেন না। ফলে পুরো ফিট শার্দুল ঠাকুরের জায়গায় আধা-ফিট হার্দিককে খেলানোর যে বিরাট ধরে রাখেন, তাতে ভারতের হাতে বোলিংয়ের সুযোগও কমে যায়।