Prime Minister Narendra Modi: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০ অক্টোবর কুশীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উদ্বোধন করবেন

Published By: Khabar India Online | Published On:

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০ অক্টোবর কুশীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দি বেন প্যাটেল, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী শ্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া উপস্থিত থাকবেন। আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দরটি থেকে বিমান ওঠা-নামার ফলে বিশ্বের নানা স্থান থেকে আসা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সুবিধা হবে। উদ্বোধনী বিমানে শ্রীলঙ্কার কলম্বো থেকে ১২৫ জন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ও বিশিষ্টজন কুশীনগরে পৌঁছবেন। ভগবান বুদ্ধের মহাপরিনির্বান স্থল দর্শনে বিশ্ব জুড়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সুবিধা হবে।

ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ দেশ জুড়ে বিমানবন্দরের পরিকাঠামোর মানোন্নয়নে সচেষ্ট। কুশীনগর বিমানবন্দরটি নির্মাণে উত্তর প্রদেশ সরকারের সহযোগিতা পাওয়া গেছে। এখানে ৩ হাজার ৬০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে নতুন টার্মিনাল ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৬০ কোটি টাকা। দেশ-বিদেশের পর্যটক ও তীর্থ যাত্রীদের চাহিদার কথা বিবেচনা করেই এই বিমানবন্দরটি নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে ব্যস্ততম সময়ে নতুন টার্মিনাল থেকে ৩০০ জন যাত্রী পরিষেবা পাবেন। কুশীনগর আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ তীর্থ দর্শনে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। লুম্বিনী, সারনাথ, শ্রাবস্তী, রাজগীর, সংকিসা, বৈশালী, বুদ্ধগয়া এবং গয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে এই বিমানবন্দরের সুবিধা পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন -  একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল স্বাধীনতা দিবসের আগেই, যাত্রী ভোগান্তির আশঙ্কা

কুশীনগর বিমানবন্দর উদ্বোধন হওয়ার ফলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা সহজেই এখানে আসতে পারবেন। শ্রীলঙ্কা, জাপান, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর ইত্যাদি দেশ থেকে পর্যটকরা সহজেই কুশীনগরে আসতে পারবেন। এই বিমানবন্দরের ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে ২০ শতাংশ বেশি পর্যটক আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -  নাচতে ব্যস্ত জিতু ! এরপরেই উড়ে এল জুতো, কেন ? ' মানিকে মাগে হিথে' নাচের জন্য

কুশীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এই অঞ্চলকে বিশ্বের অন্যতম তীর্থস্থানের মর্যাদা দেওয়ার পাশাপাশি, এখানকার অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। হোটেল, ট্যুরিস্ট এজেন্সি, রেস্তোরাঁ ইত্যাদি গড়ে উঠবে। এর ফলে, কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। স্থানীয় মানুষ পরিবহণ ব্যবস্থা, গাইড ইত্যাদি কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন। এই অঞ্চলের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে নতুন পরিচিতি গড়ে উঠবে।

আরও পড়ুন -  Lal Bahadur Shastri: লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর জয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

চারটি প্রধান বৌদ্ধ তীর্থস্থানগুলির মধ্যে কুশীনগর বিমানবন্দরের উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৌদ্ধ পর্যটক সার্কিটে এই অঞ্চল তার প্রাপ্য সম্মান পাবে। দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি, বিশ্ব জুড়ে বৌদ্ধ ধর্মের নীতি প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। এই বিমানবন্দর ২ কোটিরও বেশি মানুষের চাহিদা পূরণ করবে। পূর্ব উত্তর প্রদেশ এবং পশ্চিম ও উত্তর বিহারের ১০-১৫টি জেলার পরিযায়ী শ্রমিকরা এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন। কলা, স্ট্রবেরি এবং মাশরুমের মতো বিভিন্ন ফল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। সূত্রঃ পিআইবি