করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে মাস্ক পরার বিকল্প নেই। যদিও অনেকেই করোনার দুই ডোজের টিকা গ্রহণ করেছেন, তবুও মাস্ক না পরে চলাফেরা করা উচিত নয়।
বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে বারবার পরামর্শ দিচ্ছেন, তবুও অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। বর্তমানে করোনা সংক্রমণ কমলেও মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিকল্প নেই।
অনেকেই ভাবছেন টিকা তো নিয়েই নিয়েছি, এখন আর মাস্ক পরে কী লাভ! তবে কখনও এই ভুল করবেন না। অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরার কারণে অনেকেই মাথাব্যথায় ভোগেন। মাথাব্যথার পাশাপাশি অস্বস্তি, জলশূন্যতা ও মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দেয় অনেকের। কেন এমনটি ঘটে?
যাদের সর্দি, কাশি, হাঁপানি, অ্যালার্জি ও ত্বকে ফুসকুড়ি থাকে তাদের জন্য মাস্ক ব্যবহার করা আরও কঠিন।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে, সবাইকেই নিজ ও অন্যের নিরাপত্তার জন্য জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ সময় ধরে টাইট মাস্ক পরলে টেম্পোরোম্যান্ডিবুলার জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে। মাস্ক পরলে যেহেতু চোয়াল নড়াতে বেশ সমস্যা হয়।
তাই মুখের পেশী ও টিস্যুসমূহ বাঁধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে চোয়াল প্রভাবিত হয়ে স্নায়ুতে ব্যথার সংকেত পাঠায়। যা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
মাস্ক পরলে মাথাব্যথা প্রতিরোধে করণীয়
টাইট মাস্ক পরবেন না। এতে কানে চাপ পড়ে। যা মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
মাস্ক পরার সময় চোয়াল ও দাঁতের অবস্থানের দিকে মনোযোগ দিন। মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তায় থাকলে চোয়ালের পেশী শক্ত হয়ে যায়।
যা মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। তাই মাস্ক পররে চোয়ালের পেশী শিথিল রাখুন।
মাস্ক পরে খারাপ ভঙ্গিতে থাকবেন না। এতে পেশীর টান বাড়বে। যা মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
মাস্ক পরার পর চোয়াল শিথিল রাখার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে হালকাভাবে মুখ খুলে রাখুন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া