অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দিতে টুইটার কর্তৃপক্ষকে যেন নির্দেশ দেওয়া হয়, সেই আবেদন নিয়ে আদালতে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্লোরিডার আদালতে করা ওই আবেদনে প্রাথমিক টুইটারের সিদ্ধান্তের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়েছেন ট্রাম্প।
আবেদনে টুইটারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যুক্তি হিসেবে তালেবানের প্রসঙ্গ টেনেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর আবেদনে বলা হয়েছে, টুইটার কর্তৃপক্ষ তালেবানকে আফগানিস্তানজুড়ে তাদের বিজয়ের খবর নিয়ে নিয়মিত টুইট করতে দিয়েছে। অপর দিকে তাঁর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য’ আখ্যা দিয়ে তাঁর টুইটগুলো পরিমার্জন করা হয়েছে।
গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে হেরে যান ট্রাম্প। কিন্তু নির্বাচনে ব্যাপকভাবে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন তিনি। এর জের ধরে ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে নজিরবিহীন হামলা চালান ট্রাম্প সমর্থকেরা। এরপর সহিংসতা উসকে দেওয়ার ঝুঁকির কথা জানিয়ে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিল টুইটার ও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
টুইটার কর্তৃপক্ষ যখন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, তখন টুইটারে তাঁর অনুগামী ছিলেন ৮ কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষ।
গত শুক্রবার ফ্লোরিডার ডিস্ট্রিক্ট আদালতে এই আবেদন করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইটারের বিরুদ্ধে আদেশ চেয়ে তিনি বলেছেন, কংগ্রেস সদস্যদের ‘জোরাজুরি’র কারণে টুইটার কর্তৃপক্ষ তাঁর অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছিল।