টেলিভিশনের হাত ধরে অভিনয়ের যাত্রা শুরু করেন অভিনেত্রী। ২০১২ সালে ‘অদ্বিতীয়া’ ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০১৩ সালে ‘রূপকথা নয়’ ছবিতে অভিষেক করেন সোহিনী। আর সেই বছরই ‘ফড়িং’ তৈরি হয়। তারপর আর অভিনেত্রীকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। টলিউডে পাকাপোক্ত জায়গা করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এরপর একে একে ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’, ‘ঝুমুরা’, ‘মণিহারা’, ‘রাজকাহিনি’, ‘হরহর ব্যোমকেশ’, ‘সিনেমাওয়ালা’, ‘ব্যোমকেশ পর্ব’, ‘বিবাহ ডায়ারিজ’, ‘দুর্গা সহায়’, ‘বিদায় ব্যোমকেশ’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেন সোহিনী। এমনকি ওয়েব সিরিজেও চুটিয়ে অভিনয় করছেন। ১লা অক্টোবর অর্থাৎ গত কাল ছিল অভিনেত্রী সোহিনী সরকারের জন্মদিন। এই বিশেষ দিন কলকাতায় নয় শহর থেকে অনেক দূরে পুদুচেরিতে উদযাপন করলেন। না মনের মানুষ রণজয় বা বন্ধুদের সাথে নয়। কাজের সূত্রে এই মুহূর্তে তিনি তিলোত্তমা ছেড়ে আছেন পুদুচেরিতে। হইচই -এর নতুন ওয়েব সিরিজ শ্রীকান্তের শ্যুটিং করছেন এখানে। সেই সুবাদেই আপাতত পুদুচেরিতে শ্যুটিং ইউনিটের সঙ্গে ‘বার্থডে গার্ল’কে নিজের জন্মদিন উদযাপন করতে হল। তবে কলকাতা থেকে দূরে থাকলেও জন্মদিনের দিন সক্কাল থেকে অনুরাগী থেকে সকল বন্ধু বান্ধবীর থেকে জন্মদিনের ভুরি ভুরি শুভেচ্ছা পেয়েছেন। তাই তো দূরে থেকে নিজের ফেসবুক লাইভে এসে নিজের প্রিয় অনুরাগীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বললেন সোহিনী। এদিন তিনি বললেন, গতবারের জন্মদিনও বাইরে কাটাতে হয়েছে তাঁকে। সেবারে মুর্শিদাবাদে ছিলেন কাজের জন্য। আর এবার ‘শ্রীকান্ত’-এর শ্যুটিংয়ে পুদুচেরিতে শ্যুটিং ফ্লোরে রয়েছেন। এই ওয়েব সিরিজে শ্রীকান্তের ভূমিকায় অভিনয় করছেন ঋষভ বসু। আর রাজলক্ষীর ভূমিকায় থাকছেন সোহিনী।
জন্মদিনের দিন বাইরে থাকলেও কাজ থেকে তিনি ছুটি পেয়েছেন। শ্যুটিং সেটেই অভিনেত্রীর জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে। কথার ফাঁকে আরো বলেন এই নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বার দক্ষিণ ভারতে এলেন। এমনি ছুটি কাটাতে তিনি পাহাড় ভালোবাসেন তা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া দেখলে বোঝা যায়। তবে কখনো সেভাবে দক্ষিণ দিকটা। তবে কি পুজোতে কলকাতা থাকবেন না। সেই উত্তরে জানান, মহালয়ার দিনে তিনি ‘ঘর ওয়াপসি’ করছেন। এই সুখবর নিজের অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন তিনি।
লাইভ চলার ফাঁকেই অনুরাগী তাঁকে নানান প্রশ্ন করে চলেছিল। তাঁদের সাধ্যমত উত্তর দিচ্ছিলেন অভিনেত্রী। এসবের মধ্যেই এক অনুরাগী তাঁকে সরাসরি কোনও ভণিতা না করেই জিজ্ঞেস করে বসলেম, এটা কততম জন্মদিন তাঁর? এই প্রশ্নের জবাব অবশ্য দেননি টলি-সুন্দরী। বুদ্ধি করেই এড়িয়ে গেছেন। কেন এড়িয়ে গেছেন?