খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের সর্ব মোট সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র উপ নির্বাচন হওয়ার কথা। এরমধ্যে ভবানীপুর কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রার্থী হচ্ছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা যদি আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে জয়লাভ করে না আসতে পারেন তাহলে তাকে কিন্তু নিজের মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে হবে। এই সাতটি কেন্দ্রীয় উপ নির্বাচন নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে সমস্যা শুরু হয়ে গিয়েছে। একদিকে যেমন তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য এই মুহূর্তে উপনির্বাচন করানোর কোন সমস্যা নেই। বিজেপি দাবি করছে রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা চলছে তাই এখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার মত সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়নি।
অনেকে মনে করছেন বিজেপি ক্রমাগত চাইছে যেন উপনির্বাচন না নেওয়া হয় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে যেতে পারেন। এই টানাপোড়েনের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের অনেকেই বিশেষত স্বাস্থ্যমন্ত্রক রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অত্যন্ত চিন্তার প্রদর্শন করেছেন। কেউ কেউ বলছেন করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে নির্বাচন করানো সম্ভব নয়। যদি তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের এই সমস্ত যুক্তি দেখানর পিছনে আছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক অভিসন্ধি।
ইতিমধ্যেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন একাধিকবার দ্রুত নির্বাচন করার আর্জি জানিয়ে পৌঁছে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত 9 আগস্ট সমস্ত রাজনৈতিক দলকে চিঠি পাঠিয়ে নির্বাচন কমিশন জানতে চেয়েছিল তাদের মতামত। যদিও শেষ দিন আসার আগেই নিজেদের জবাব পাঠিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের তরফ থেকে 5 জন সাংসদের একটি প্রতিনিধি দলের নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এবং সুদীপ জৈন।
অন্যদিকে, তৃণমূলের প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৌগত রায়, সুখেন্দু শেখর রায়, জহর সরকার, সাজেদা আহমেদ এবং মহুয়া মৈত্র। পুজোর আগে এই ৭ কেন্দ্রে উপনির্বাচন করার আর্জি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল ঘোষণা করেছে, ‘ মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে। আমরা আমাদের স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। ৭ টি কেন্দ্রে যেন তাড়াতাড়ি নির্বাচন করা যায় সেই দিকে আমাদের লক্ষ্য।বলা হয়েছে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ কমে এসেছে।বর্তমানে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি একেবারে নিয়ন্ত্রণে। করোনা সংক্রমণের তথ্য জানানো হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে প্রত্যেকদিন মাত্র ৮০০ এর কিছু বেশি করোনা সংক্রমণ হচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন গ্রহণ করা সম্ভব।’
মহুয়া মৈত্র অন্যদিকে জানিয়েছেন, ‘ যদি প্রয়োজনে দুই দফায় নির্বাচন করতে হয় তাহলেও তাদের কোনো আপত্তি নেই। কমিশন বলেছে আমাদের কাজ নির্বাচন করানো নির্বাচন আটকে রাখা নয়।’ অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক শুখেন্দু শেখর রায় বলেছেন, ‘মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর সঙ্গে বৈঠক করে আমরা আশাবাদী। আমরা আশা করছি শীঘ্রই রাজ্যের সমস্ত কেন্দ্রীয় উপনির্বাচন করিয়ে নেবে কমিশন। নির্বাচন করানোর মতো বর্তমানে উপযুক্ত পরিস্থিতি রয়েছে।’