রোগীর আত্মীয়দের নার্সিংহোমের ভেতরেই বেধড়ক মারধরের অভিযোগ, রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার

Published By: Khabar India Online | Published On:

সুমিত ঘোষ, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, মালদাঃ   রোগীর আত্মীয়দের নার্সিংহোমের ভেতরেই বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। উত্তপ্ত মালদার গাবগাছি এলাকায় অবস্থিত ইডেন নাসিংহোম। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে আহত রোগীর আত্মীয়দের উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। শুক্রবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা নার্সিংহোম চত্বর জুড়ে। যদিও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি এই ঘটনায় তাদের দুই মেডিকেল কর্মী আহত।
জানা যায় কালিয়াচক থানার জালালপুর এলাকার বাসিন্দা আনসুর মৌমিন হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার সকালে মালদা শহরের গাবগাছি এলাকায় ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। অসুস্থ বৃদ্ধের ছেলের অভিযোগ এক দিন পার হয়ে গেলেও তার বাবাকে সুস্থ করতে পারেনি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। উপরন্ত টাকার জন্য চাপ দেওয়া হয়। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিল পরিশোধ করে দেওয়ার পরও শুক্রবার যখন তারা বাবাকে ছুটি দিয়ে দেওয়ার জন্য বলে। অভিযোগ এরপরই নার্সিংহোমের কয়েকজন কর্মী তাদের ওপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করে। ঘটনায় আক্তার মৌমিন এবং মোহাম্মদ সাহেব মৌমিন গুরুতর আহত হয়। একজনের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ।

আরও পড়ুন -  রূপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অভিনেত্রীর নতুন প্রেমিক অভিরূপ, আরও সুন্দরী হয়েছেন !

পরে খবর পেয়ে ইংলিশবাজার থানার পুলিশ পৌঁছে তাদের দুজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। আহত মোহাম্মদ সাহেব মৌমিন এবং আক্তার মৌমিনের অভিযোগ, তার বাবাকে সুস্থ করতে না পারায় এবং শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটি চেয়ে ছিলেন তারা। ছুটি চাওয়াই বেধড়ক মারধর করা হয় তাদের দুই ভাইকে। ছিনিয়ে নেওয়া হয় মোবাইলও। যদিও এই ব্যাপারে ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কর্ণধার বিকাশ দাস জানান, ঘটনার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তবে ঘটনা ঘিরে দু’পক্ষের হাতাহাতি হয় তাদের দুজন কর্মী আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন -  শোয়ার ঘর থেকে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য

এদিকে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি নার্সিংহোমে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই ? অসুস্থ রোগীরা সুস্থ হতে আসেন এখানে। কিন্তু উল্টে মাথা ফেটে মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন রোগীর আত্মীয়রা। বারবার সংবাদ শিরোনামে উঠে আসছে এই নার্সিংহোম। তারপরও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর কিংবা পুলিশ প্রশাসন বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন -  Protest: একই পরিবারের তিন জনকে বেধড়ক মারধর