Hair Care: পুরুষদের মাথায় টাক পড়া আটকানোর টিপস

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ   মেয়েদের চুল পড়ার পাশাপাশি ছেলেরা চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। নানা কারণ থাকতে পারে। তবে কারণগুলি কে যদি একটুখানি খতিয়ে দেখে সমস্যার সমাধান করতে পারেন তাহলে অকালে টাক পড়ে যাওয়া থেকে আপনি বাঁচতে পারেন। পুরুষদের অকালে টাক পড়ে যাওয়ার কারণ কি ?  হরমোনজনিত সমস্যা- টেস্টোস্টেরন ও অ্যান্ড্রোস্ট্রেনডিয়ন ইত্যাদি হরমোন পুরুষের বেশি ও মহিলাদের পরিমাণে কম থাকে। এই হরমোন গুলি চুলপড়াকে নিয়ন্ত্রিত করে। সেই কারণে পুরুষদের চুল বেশি পড়তে পারে। তবে সবার যে পড়বে তা নয়, নানান রকম হরমোন সমস্যার জন্য একেবারে টাক পড়ে যায়।

স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করেঃ
নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা অনেক বেশি মানসিক চাপের মধ্যে থাকে । বিশেষত বর্তমানে অর্থনৈতিক সংকটে ভুগতে হচ্ছে। তাতে ছেলেদের ওপর চাপ অনেক বেশি এই সমস্ত মানুষের জন্য দৈনিক ১০০ টার বেশি চুল পড়লে তবে এটি যথেষ্ট চিন্তার বিষয়।

বংশগত কারণঃ বংশে আপনজনদের কারো এই সমস্যা থাকলে উত্তরাধিকার সূত্রেও আপনি পেয়ে যেতে পারেন এই সমস্যা। এর পিছনে আপনার যে বংশগত কারণ থাকতে পারে।

আরও পড়ুন -  Hair Care: পাতলা চুল ঘন করার টিপস

শরীরের কোন সমস্যাঃ প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল এর অভাবেও চুল পড়তে পারে। অনেক সময় দূরারোগ্য কিছু রোগে আক্রান্ত হলেও প্রচুর চুল পড়ে। এখন এমন খাবার খাই, যাতে করে পরিমাণমতো পুষ্টি আমাদের শরীরে এসে পৌঁছায় না।

খুশকির কারণেঃ এক সময় মাথায় অতিরিক্ত খুশকি হলে প্রচুর পরিমাণে চুল উঠে যেতে পারে।

অতিরিক্ত মদ্যপানঃ  অতিরিক্ত মদ্যপান করলে সহজেই চুল উঠে যেতে পারে।

সমাধানের উপায়ঃ

ভিটামিনসমৃদ্ধ খাদ্যাভ্যাস- শরীরে সুষম ও পুষ্টিকর খাবার সরবারহ করতে পারলে অচিরেই আপনার চুল পড়া কমে যাবে। ভিটামিন শুধুমাত্র আমাদের শরীরের জন্যই ভালো না আমাদের চুলের জন্যও ভালো। বিশেষ করে ভিটামিন এ সেবাম তৈরি করে স্কাল্পের সুস্থতা বজায় রাখে। ভিটামিন ই রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে, যার ফলে নতুন চুল উঠে। আবার ভিটামিন বি খেতে পারেন, আপনার চুলকে বিবর্ণতার হাত থেকে রক্ষা করে।

খাদ্য তালিকায় আমিষ রাখুন- মাছ, মাংস, ডিম এবং অন্যান্য যেকোনো আমিষ আপনার চুলের জন্য খুব ভালো। এগুলো আপনার চুল পড়া কমাতে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

আরও পড়ুন -  Kareena Kapoor: কারিনা মগ্ন কঠোর শরীরচর্চায়, উৎসবের আমেজ কাটিয়ে

 মদ্যপান ধূমপান এড়িয়ে চলুন- মদ্যপান, ধূমপান কে এড়িয়ে চলতে হবে। যদি সম্ভব হয় একেবারে বন্ধ করে দিতে পারেন। তবে এটিও আপনাকে আস্তে আস্তে করতে হবে। যাদের নিয়মিত মদ্যপান এবং ধূমপান করার অভ্যাস আছে তারা একসঙ্গে বন্ধ করে দিতে পারবেন না। তাই আস্তে আস্তে বিষয়টিকে বন্ধ করুন। ৪. বেশি পরিমাণে জল পান করুন – প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে জল শরীর থেকে বিষ অর্থাৎ টক্সিনকে দূর করে শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখে।

 ভালো তেল ব্যবহার করুন – তাকে অন্তত দুদিন চুলের গোড়ায় ভাল নারকেল তেল অথবা ভালো তিলের তেল ব্যবহার করতে হবে। গোড়ায় গোড়ায় ভালো করে ম্যাসাজ করতে হবে যদি তেল মেখে বাইরে বের হতে না চান তাহলে রাত্রিবেলা মেখে পরের দিন শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এতে ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি পাবে চুল পড়া কমে যাবে।

আরও পড়ুন -  বিরক্তি না হয়ে এই ভাবে খোসা ছাড়ান

 সঠিকভাবে হেলমেট ব্যবহার করুন – বাইক নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ান, তাদের অবশ্যই মাথায় হেলমেট পরতে হবে। কিন্তু হেলমেট সারাক্ষণ পড়ে থাকলে আপনার চুল ভেঙে যেতে পারে। যার ফলে সহজে চুল উঠতে পারে যার জন্য পড়ার আগে মাথার ওপরে সুতির কোন কাপড় বা রুমাল দিয়ে তারপরে হেলমেট পরুন। এর ফলে আপনি হেলমেটের কোন ভাবে আপনার ঘাম লাগবেনা রুমাল ধুয়ে নিলেই আপনার মাথা একেবারে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

মাথা পরিষ্কার রাখুন – অন্তত তিন দিন ভালো কোন শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করতে হবে। মাথা পরিষ্কার রাখতে হবে বর্তমানে অনেক সময় বাইরে বেরোলেই বৃষ্টি হচ্ছে, বৃষ্টির জল মাথায় রাখলে বাড়িতে এসে সেই মাথা ভালো করে ভালো জলে ধুয়ে নিতে হবে। বৃষ্টির জল কিন্তু চুলের জন্য ভীষণ ক্ষতিকারক।

 দুশ্চিন্তা কমান – দুশ্চিন্তা কমাতে হবে। তাই সকালে অন্তত ২০ মিনিট যোগাভ্যাস, মেডিটেশন, প্রাণায়াম ইত্যাদি করুন। তাহলে শরীরের ভেতর অক্সিজেন বেশি যাবে যার ফলে আপনার শরীর ভেতর থেকে সুস্থ থাকবে।