খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ মহানগরীর বুকে রমরমিয়ে ব্যবসা চলছিল ‘নিষিদ্ধ’ ছবির। সেই চক্রের মূল পান্ডা তার নাম নন্দিনী। নন্দিনী দত্ত। পেশায় মডেল ও অভিনেত্রী হলেও তার মূল ব্যবসাই ছিল এই নীল ছবি তৈরি। তার সাথেই তার সঙ্গী ছিলেন মৈনাক ঘোষ নামের জনৈক। নিউটাউনের এক হোটেলে দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের জাল ছড়িয়ে বসেছিলেন সো কল্ড ম্যাডাম ও তার গুণধর চ্যালা।
গোপন সূত্রের খবর পাওয়ার পরেই কলকাতা পুলিশ তাদের দুজনকে ও ওই হোটেলের কর্তৃপক্ষকে গ্রেফতার করে। জানা যাচ্ছে, তাদেরকে বৃহস্পতিবার বারাসাত আদালতে হাজির করানো হয়। আপাতত ৪ দিনের জেল হেফাজত দেওয়া হয়েছে তাদের। পুলিশের ধারণা এই কাণ্ডের সঙ্গে আরো অনেকেই জড়িয়ে আছেন। তাই তাদের সন্ধানের জন্য এই ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, এই কাণ্ডের বাকি পান্ডাদের ধরার জন্য ইতিমধ্যেই জাল ছড়াতে শুরু করে দিয়েছে পুলিশ।
নন্দিতা থাকেন দমদমে ও মৈনাকের বাড়ি নাকতলায়। তারা বহুদিন ধরেই এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মূলত এই নন্দিনী এই চক্রের মূল মাথা। আর মৈনাক চিত্রগ্রাহক। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে তারা উঠতি মডেলদের দিয়ে এই সমস্ত ছবির শুটিং করাতেন। ঘন্টার পর ঘন্টা তাদের শুটিং চলতো। তারপর এডিটিং ও সাউন্ড এফেক্ট ব্যবহার করে তৈরি করা হতো ‘ওয়েব সিরিজ’। পুলিশ সূত্রের খবর, বিদেশ থেকে এই ওয়েব সিরিজ আপলোড করা হতো কিছু ওয়েবসাইটে।
রাজ কুন্দ্রা গ্রেফতার হওয়ার পরেই এই পর্ণ চক্রের জাল আরো খুলতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে উঠে আসছে আরো অনেকের নাম। রাজের অ্যাপ ও ছবিতে অনেককেই ব্যবহার করা হতো। নন্দিনী সরাসরি রাজের সঙ্গে যুক্ত নাকি তিনি নিজেই আলাদা জগৎ খুলে বসেছিলেন সেটা নিয়েই এখন খোঁজ চালাচ্ছেন।