খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তনের হাওয়া নিয়ে আসার চেষ্টা করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। আদতে কিন্তু সেই রকমটা কিছুই হয়নি। অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদিরা বারংবার বলছিলেন বিজেপি নির্বাচনে ২০০ এর বেশি আসনে জয়লাভ করবে, সেখানে কিন্তু বিজেপির গাড়ি থেমে গিয়েছিল মাত্র ৭৭ আসনে। সেখান থেকে আবার নিশীথ প্রামানিক ও জগন্নাথ সরকার তাদের বিধায়ক পদ ত্যাগ করার ফলে বিজেপির আসন সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৭৫।
নির্বাচনে এটা স্পষ্ট যে বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকার স্থাপন করা খুব একটা সহজ কাজ হবে না বিজেপির পক্ষে। বাংলা এবারেও তার নিজের মেয়ের উপরে ভরসা রেখেছেন। থেমে গেছে বিজেপির বিজয়রথ। রবিবার চন্ডিপুরে একটি সাংগঠনিক সভায় শুভেন্দু অধিকারী তাদের হারের প্রসঙ্গে নিজের মন্তব্য জানালেন। শুভেন্দু অধিকারী বললেন, আত্মতুষ্টি কারণে বিধানসভা ভোটে পরাজিত হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।
তার বক্তব্য, “অনেকেই ফলাফল ঘোষণার আগেই করে নিয়েছিলেন ২৯৪ আসনের মধ্যে ১৭০ আসনের বেশি পেতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। খেজুরি থেকে শুরু করে নন্দীগ্রাম এবং নন্দকুমার জিতে যাব এটা অনেকেই ভেবে নিয়েছিল। মনে করেছিলেন চন্ডিপুর হারলে হারবো। কিন্তু এই আত্মতুষ্টি আমাদের পরাজয়ে পথে নিয়ে গেছে।”
যদিও নন্দীগ্রামের দাদার এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের অনেকে। দলীয় কর্মীদের প্রতি আরও ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে করা আক্রমণ করেছেন তিনি। ভারতীয় জনতা পার্টির এই আত্মতুষ্টি কে খুব একটা বড় করে দেখতে চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দলের তরফ থেকে মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বললেন, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন শুভেন্দু অধিকারী। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পক্ষে সকলে ভোট দিয়েছেন। বিজেপির সমস্ত জনবিরোধী নীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে মানুষ। বরং, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি তাদের কাছে আরো বেশি গ্রহণযোগ্য।