রাতারাতি কোটিপতি হলেন, ভাতারের রামকৃষ্ণ দাস !

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ  পূর্ব বর্ধমানের ভাতার অঞ্চলে লটারি কেটে কোটিপতি হওয়ার ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রামকৃষ্ণ দাস এর বাড়িতে।

অন্যের ভাগ্য ফেরাতে একটা সময় নিজেই লটারি টিকিট বিক্রি করতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন না লটারি কেটে সব সময় খুব একটা কিছু হয়। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে অন্যের ভাগ্য পরীক্ষা করার জন্য প্রত্যেকদিন স্টল দিতেন। কখনো বিক্রি হতো আবার কখনো বিক্রি হতো না। দিন আনা দিন খাওয়া সংসারে এইটাই ছিল একমাত্র উপার্জনের রাস্তা। একদিন খেয়াল বশে নিজেই একটি টিকিট কেটে ফেললেন। আর তাতেই কেল্লাফতে। এক রাতের মধ্যেই কোটিপতি হয়ে গেলেন এই লটারি বিক্রেতা।

আরও পড়ুন -  Four Firearms: চারটি আগ্নেয়াস্ত্র ও 34 রাউন্ড কার্তুজ সহ দুইজন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার

ভাতার বাসস্ট্যান্ডে লটারি টিকিট বিক্রি করতেন বহুদিন ধরে রামকৃষ্ণ দাস। এই একটি ব্যবসা তার পুরো সংসারকে বাঁচিয়ে রেখেছিল। লকডাউনে সেই ব্যবসাতেও টান পড়ে। কার্যত সেই সময় দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। যাই হোক তারপর আবার সবকিছু ঠিকঠাক হয়। আবারো প্রত্যেক দিনের মতো তিনি লটারি টিকিট বিক্রি করার জন্য গিয়ে বসলেন। কিন্তু সোমবার রাতে হঠাৎ করে খেয়াল বশত নিজের ভাগ্য পরীক্ষার জন্য 30 টাকা দিয়ে একটি টিকিট কাটেন । তার স্ত্রী জানাচ্ছেন, অভাব-অনটন তার দীর্ঘদিনের সাথী। যখন তার মেয়ে এবং জামাই বাড়িতে আসে তখন অন্যরা বাইরে ঘুমোতে যান। বর্ষা শীতকালে চরম কষ্ট। তিনি বহু দিন ধরে চাইছিলেন যেন একটা বাড়ি হোক। এবারে সেই লটারি টিকিটে বাড়ি হবে। অন্যদিকে রামকৃষ্ণ বলছেন, লটারি ব্যবসা করার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন। এই ব্যবসায় নিজেই নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এই টাকায় তার সমস্ত ঋণ শোধ করতে পারবেন তিনি। রথযাত্রার দিন টিকিট কেনা। রামকৃষ্ণ বাবু মনে করছেন, এই টাকা তাকে জগন্নাথ দিয়েছে। তাই তিনি লটারি ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে একটি টোটো কিনে চালানো শুরু করবেন বলে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন।

আরও পড়ুন -  প্রধানমন্ত্রীর পৌরহিত্যে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে প্রতিষেধক তৈরি এবং পরিকল্পনা বিষয়ে পর্যালোচনা বৈঠক

পাঁচ ভাই দুই বোন নিয়ে তার সংসার। সরকারি খাস জমিতে দীর্ঘ বেশ কিছুদিন ধরে বসবাস করছেন। একটা ঘরের মধ্যে রান্না, খাওয়া, সবকিছু। একেবারে দিন আনা দিন খাওয়া সংসার। যদি তিনি একদিন কাজে না যান তাহলে সেইদিন হাঁড়ি চড়বে না। দুই মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে তিনি সেখানে বসবাস করেন। কিন্তু এমন একটা লটারি টিকিট কেটে হঠাৎ করে কোটিপতি হয়ে গিয়ে রীতীমতো ঘুম উড়ে গিয়েছে ওই ব্যক্তির।

আরও পড়ুন -  নানান রকম ভর্তা