খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ আপনি চির যৌবন ধরে রাখতে পারবেন। বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রেহাই পেতে বয়স ৩০ হলেই বা বয়স ৩০ এর কাছাকাছি হলেই, এই পদক্ষেপ নিন। অনেকেই কুড়িতে বুড়ি বা বুড়ো হওয়ার পথ তৈরি করেন নিজের অজান্তেই। বয়স কুড়ি পেরনোর পর আস্তে আস্তে যেন ত্বক কুঁচকে যাওয়া, কালো দাগ তারপর বলি দেখা, এসব দেখা যায় আস্তে আস্তে। যদিও তাঁর জন্য সঠিক ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন কিন্তু তিরিশ বছর পেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে বা বয়স ৩০ এর কাছাকাছি হলেই যেন একটু একটু করে অনেকে বুড়িয়ে যেতে বসেন। আর তার ছাপ পড়ে ত্বকের মধ্যেই।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও আস্তে আস্তে কমতে শুরু করে আর তাতে নানান রকমের সমস্যা দেখা দেয়। তাই তো ত্রিশ বছর পেরলেই বা বয়স ৩০ এর কাছাকাছি হলেই এই নিয়মগুলি মেনে চলা অবশ্যই উচিত। ভিটামিন সি যা আমাদের শ্বসন তন্ত্রকে সুস্থ রাখতে ও টক্সিক জাতীয় যে কোনো পদার্থকে শরীর থেকে দূরীভূত করতে বিশেষ ভুমিকা পালন করে। হাড়ের গঠনকে সঠিক ভাবে ধরে রাখতে কমলালেবু এবং টক জাতীয় খাবার খাওয়া তিরিশ বছর পরে অত্যন্ত জরুরি। হাড়ের গঠন ঠিক রাখার পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার। একটা বয়সের পর আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলি আসতে আসতে কর্মহীন হতে শুরু করে তাই সেগুলিকে সচল রাখার জন্য ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া বিশেষ উপকারী বলেই জানাচ্ছেন চিকিত্সকরা। শুধু তাই নয় এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মানুষের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও বিশেষ দক্ষতার সাহিত কাজ করে থাকে।
শাক সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফলেট উপাদান থাকে যা আসলে আমাদের শরীরে ব্লাড কাউন্টের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। কলার গুণাগুণ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। কারণ কলায় থাকা পটাশিয়াম শরীরের বিভিন্ন হরমোনের ভারসাম্যহীনতাকে রক্ষা করে একই সঙ্গে হাড়ের গঠন সঠিক মাত্রায় পূর্ণ করে তাই শরীর সুস্থ রাখার জন্য কলা খাওয়ার অবশ্যই প্রয়োজন। ত্রিশ বছর পার হলেই মহিলাদের প্রতিদিনের খাদ্যের তালিকায় একটি করে কলা থাকাটা অবশ্যই দরকার। মদ্যপান, ধূমপান এগুলি থেকে বিরত থাকাই ভাল।
কারণ মদ্যপান কিংবা ধূমপান যত বেশি পরিমাণে করবেন ততই শরীরের কর্মক্ষমতা নষ্ট হবে। ত্রিশ বছর পেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়, যার ফলে হাড়ের জয়েন্টর ব্যথা হয়ে থাকে। অল্প সময়ের মধ্যেই বাতের ব্যথার মতো কষ্টকর রোগ দেখা যায়। তাই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করার জন্য এবং হাড়ের গঠন ঠিক রাখার জন্য অবশ্যই ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খাওয়া আবশ্যক। যেমন- দুধ, দই ও দুগ্ধজাত খাদ্য দ্রব্য। অনেকের মধ্যেই কফি খাওয়ার বিশেষ প্রবণতা দেখা যায় কিন্তু যত বয়স বাড়বে তত বেশি করে কফি খেলেই শরীরের ওপর বিশেষ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে তাই ত্রিশ বছর পেরিয়ে গেলে সুস্থ থাকার জন্য কফি খাওয়া একদমই উচিত নয়। আপনি কফির পরিবর্তে দিনে দুই থেকে তিন বার মধু সহযোগে গ্রীন টি সেবন করতে পারেন। গ্রীন টি যা আমাদের শরীরের মেটাবলিজম রেট বৃদ্ধি করে ও মধু ত্বককে কোমলতা বজায় রাখে। মদ সেবন করলে মানুষের মুখের ওপর বয়সের ছাপ পড়ার সাথে সাথে একটু একটু করে শরীরের যৌন ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়।