নিজস্ব প্রতিনিধি, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, বাংলাদেশঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ৫টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব সমঝোতা স্মারক সই হয়।
তথ্য মতে, প্রায় আধ ঘণ্টাব্যাপী দুই শীর্ষ নেতা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে যাত্রীবাহী ট্রেন ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ উদ্বোধনসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন উভয় প্রধানমন্ত্রী।
এরপর দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ৫টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হয়।
সমঝোতা স্মারকগুলো হলো- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, রেজিলেন্স এবং প্রশমন বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করে বাংলাদেশ ও ভারত।
এছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) এবং ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর অব ইন্ডিয়া (আইএনসিসি) মধ্যে সহযোগিতা, বাণিজ্য নিয়ে একটি সহযোগিতা ফ্রেমওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিজিএসটি) সেন্টারের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য, কোর্সওয়ার অ্যান্ড রেফারেন্স বুক সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক এবং রাজশাহী কলেজ মাঠ এবং আশপাশের এলাকায় স্পোর্টস সুবিধা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
এছাড়া ভারতের পক্ষ থেকে ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স ও ১২ লাখ করোনা টিকা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন মোদি।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে বৈঠক শেষ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এর আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার ২ দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন নরেন্দ্র মোদি। সফরের প্রথম দিনে মোদি সাভারের স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের শ্রদ্ধা জানান এবং রাজধানীর প্যারেড স্কয়ারে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন আজ সকালে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর যান মোদি। সেখানে তিনি যশোরেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করেন এবং প্রার্থনা করেন। সেখানকার ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এরপর হেলিকপ্টারে টুঙ্গীপাড়ায় যান। সেখানে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। টুঙ্গীপাড়া থেকে মতুয়া সম্প্রদায়ের মন্দির পরিদর্শন ও প্রার্থনা করতে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ঠাকুর বাড়িতে যান মোদি। সেখানে ওড়াকান্দির হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে পূজা অর্চনা করেন এবং মতুয়া নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
সফর শেষে শনিবার রাত ৯টায় মোদি ঢাকা ছাড়বেন।