ভারতীয় রেলে ধূমপান এবং দাহ্য পদার্থ বহনের বিরুদ্ধে অভিযান

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ   রেলের বিভিন্ন শাখায় অগ্নিকাণ্ডের ফলে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানির আশঙ্কার কারণে কর্তৃপক্ষ বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। চলন্ত ট্রেনে ধূমপান করলে অথবা দাহ্য পদার্থ বহন করলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই মর্মে ২২ মার্চ থেকে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। ৩১ মার্চ থেকে নিয়মভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই অভিযান চলবে।

ভারতীয় রেল বিভিন্ন শাখায় যে নির্দেশগুলি পালনের পরামর্শ দিয়েছে, সেগুলি হ’ল –

১) নিবিড় জনসচেতনতা অভিযান : রেল যাত্রী, রেল কর্মচারী, যাঁরা রেলের কর্মচারী নন অথচ রেলের বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত (যেমন – ক্যাটারিং কর্মী, কুলি এবং আউটসোর্সিং কর্মচারী) – এদের ৭ দিন ধরে বিভিন্নভাবে সচতেন করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে – লিফলেট বিতরণ, স্টিকার, পুতুল নাটক, সর্বসাধারণের জন্য বিভিন্ন স্টেশনে ঘোষণার যে ব্যবস্থা তার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান, মুদ্রণ, বৈদ্যুতিন এবং সামাজিক মাধ্যমে বিজ্ঞাপন।

আরও পড়ুন -   মহানন্দার জল বাড়ায় মালদা শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের নদী তীরবর্তী বস্তি এলাকা প্লাবিত হয়েছে

২) নিবিড় সচেতনতা অভিযানের পর যে কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে :

ক) চলন্ত ট্রেন ও স্টেশন চত্বরে ধূমপান করলে রেলওয়ে আইন অথবা ধূমপান আইনের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই কাজ টিকিট কালেক্টরের সমতুল অথবা আরপিএফ – এর এএসআই পদমর্যাদার বা তার ওপরের পদে আসীন আধিকারিকরা করবেন। এর জন্য ২০০৩ সালের সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্য আইন কার্যকর হবে।

আরও পড়ুন -  Imran Khan: যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছেন না ইমরান খান, ক্ষমতাচ্যুতির জন্য

খ) দাহ্য পদার্থ ট্রেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে নিয়মিত নজরদারি চালানো হবে। প্যান্ট্রিকারে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার সহ অন্যান্য দহনশীল পদার্থ নিয়ে যাওয়া হলে রেলের প্রয়োজনীয় আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন -  প্রচারে বেরিয়ে কোলিয়ারির খাদানে নামলেন সায়নী ঘোষ

গ) প্ল্যাটফর্ম, ইয়ার্ড সহ রেলের যে সমস্ত কোচ পরিষ্কারের জন্য লাইনে রেখে দেওয়া থাকবে, সেখানেও যাতে কেউ আগুণ না জ্বালান, রান্না না করেন – সে বিষয়ে নজর দেওয়া হবে। কেউ যদি নিয়মভঙ্গ করেন, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঘ) পার্সেল অফিসে বিভিন্ন পার্সেল পরীক্ষা করা হবে। দাহ্য পদার্থ বহন করা রুখতেও নজরদারি চালানো হবে।

ঙ) বৈধ/অবৈধ ভেন্ডাররা উনুন ও ধূমপান সামগ্রী বহন করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র – পিআইবি।