মহারাষ্ট্র, কেরল, পাঞ্জাব, কর্ণাটক, গুজরাট এবং তামিলনাড়ুতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ   ভারতে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের ৭১.৬৯ শতাংশই মহারাষ্ট্র ও কেরলের

দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করছে কেন্দ্র

দেশে ২.৬১ কোটি ডোজের বেশি টিকাকরণ।
দেশে কয়েকটি রাজ্যে দৈনিক করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা নতুন করে বেড়েছে। এই রাজ্যগুলির মধ্যে মহারাষ্ট্র, কেরল, পাঞ্জাব, কর্ণাটক, গুজরাট এবং তামিলনাডু রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় এই রাজ্যগুলিতে আক্রান্তের হার ৮৫.৬ শতাংশ।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৩ হাজার ২৮৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। কেবল মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ৩১৭। কেরলে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৩৩ জন। পাঞ্জাবে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩০৫। ৮টি রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় অগ্রগতি হয়েছে।

দেশে আজ সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ২৩৭। এই সংখ্যা মোট আক্রান্তের কেবল ১.৭৪ শতাংশ। দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের ৮২.৯৬ শতাংশই ৫টি রাজ্য থেকে। অবশ্য, মহারাষ্ট্র ও কেরলে আক্রান্তের হার ৭১.৬৯ শতাংশ।

আরও পড়ুন -  মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে 20 টি শিশু mis-c আক্রান্ত, শিশু বিভাগে ভর্তি রয়েছে

যে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে দৈনিক-ভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করছে। সরকার কোভিড সংক্রমণ ও জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়ে নিয়মিতভাবে রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করছে। সম্প্রতি কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে মহারাষ্ট্র ও পাঞ্জাবে উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হয়েছে। এর আগে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, গুজরাট, পাঞ্জাব সহ কয়েকটি রাজ্যে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় দলগুলির রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হস্তান্তরিত করা হয়।

দেশে কোভিড-১৯ টিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় আজ সকাল ৭টা পর্যন্ত প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ২ কোটি ৬১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯২০টি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭২ হাজার ২৩ হাজার ৭১ জন স্বাস্থ্য কর্মী প্রথম ডোজ, ৪০ লক্ষ ৫৬ হাজার ২৮৫ জন স্বাস্থ্য কর্মী দ্বিতীয় ডোজ, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রভাগে থাকা ৭১ লক্ষ ২১ হাজার ১২৪ জন প্রথম ডোজ, ৬ লক্ষ ৭২ হাজার ৭৯৪ জন দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। এছাড়াও, ৪৫ বছরের বেশি বয়সী একাধিক উপসর্গবিশিষ্ট ১০ লক্ষ ৩০ হাজার ৬১২ জন সুফলভোগী সহ ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৬০ লক্ষ ৬১ হাজার ৩৪ জন সুফলভোগীকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন -  ভাদ্র মাসের বৃহস্পতিবার শিবলিঙ্গের পুজো করলে সব সমস্যা দূর হবে, আয় হবে সংসারে

টিকাকরণ অভিযানের ৫৫তম দিনে (১১ মার্চ) ৪ লক্ষ ৮০ হাজার ৭৪০টি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪ লক্ষ ২ হাজার ১৩৮ জন সুফলভোগী প্রথম ডোজ এবং ৭৮ হাজার ৬০২ জন সুফলভোগী দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন।

অধিকাংশ রাজ্যেই গতকাল মহাশিবরাত্রি উদযাপিত হয়েছে। গেজেটেড ছুটির দিন না হওয়া সত্ত্বেও বহু মানুষ, বিশেষ করে আশা ও এএনএম কর্মীরা সারাদিন উপোস করেন। এই কারণেই কোভিড-১৯ টিকাকরণের গতি সামান্য মন্থর হয়েছে।

আরও পড়ুন -  প্রতি বছর কয়লা উৎপাদনে ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনে সরকার একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে

দেশে এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৯ লক্ষ ৫৩ হাজার ৩০৩ জন করোনা মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরোগ্যলাভ করেছেন ১৫ হাজার ১৫৭ জন রোগী। সুস্থতার সংখ্যা সুস্পষ্টভাবে আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে ফারাক বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৭ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬৬।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৮২.৯১ শতাংশই মারা গেছেন ৬টি রাজ্যে। মহারাষ্ট্রে একদিনেই সর্বাধিক ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাঞ্জাবে মারা গেছেন ১৮ জন এবং কেরলে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর খবর নেই। এই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে রয়েছে – গুজরাট, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, আসাম, ওডিশা, গোয়া, লাক্ষাদ্বীপ, সিকিম, লাদাখ, ত্রিপুরা, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, অরুণাচল প্রদেশ প্রভৃতি। সূত্র – পিআইবি।