নভেম্বর পর্যন্ত এমএসএমইগুলির থেকে ২১,০০০ কোটি টাকার পণ্য সংগ্রহ ও বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেবার সমন্বিত উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন অর্থমন্ত্রী

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমণ, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ (এমএসএমই) গুলির প্রাপ্য অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেছেন। তিনি এমএসএমই মন্ত্রকের কাজের প্রশংসা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের ভাবনার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী মে মাসে জানিয়েছিলেন, এমএসএমই গুলির প্রাপ্য অর্থ ৪৫ দিনের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে।

মে মাস থেকে কেন্দ্র, এই বিষয়টির ওপর নজর রাখতে শুরু করে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা ও কেন্দ্রের নানা প্রতিষ্ঠানের এমএসএমইগুলিকে বকেয়া অর্থ দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়। এর ফলে গত ৭ মাসে এমএসএমইগুলিকে তাদের প্রাপ্য ২১,০০০ টাকার বেশি অর্থ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। অক্টোবর মাসে সবথেকে বেশি এমএসএমইগুলির থেকে ৫১০০ কোটি টাকার পণ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ৪১০০ কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন -  মানুষ ভুলে গেছেন শক্ত এই গাড়িটিকে Baleno আসার জন্য

এমএসএমই মন্ত্রক, একাজে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং ক্যাবিনেট সচিবের কাছ থেকে দৃঢ় সমর্থন পাচ্ছে। বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলিকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও ক্যাবিনেট সচিব এবিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। অনলাইনের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের ফলে প্রতিমাসের শেষে কত টাকা বাকি রয়েছে, সেবিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।

আরও পড়ুন -  উদ্বোধন হল সেফ হোম, বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় এর উদ্যোগে ও সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতায়

গত ৭ মাসের হিসেবে (মে – নভেম্বর) দেখা যাচ্ছে এমএসএমইগুলির থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলির পণ্য সংগ্রহের পরিমাণ প্রায় আড়াইগুণ বেড়েছে। একই সঙ্গে এমএসএমইগুলিকে তাদের বকেয়া অর্থ পরিশোধ করার পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও মে মাস থেকে পাওয়া হিসেব অনুযায়ী অক্টোবর মাসে সবথেকে বেশি লেনদেন হয়েছে। কিন্তু ডিসেম্বর মাসে প্রথম ১০ দিনের হিসেবে এই প্রবণতা আরো ভালো বলে নজরে আসছে।

আরও পড়ুন -  মদন মিত্রের হাত ধরে আসছে ‘ দুয়ারে শুকনো খাবার ’, নতুন প্রকল্প

এমএসএমইগুলি তাদের বকেয়া অর্থ পাওয়ার ফলে মূলত উৎসবের সময়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি থেকে ভালো পণ্য ও পরিষেবা পাওয়া গেছে। সরকারের এই উদ্যোগের ফলে এধরণের শিল্পোদ্যোগী সংস্থা ও গ্রামীণ শিল্প আগের বছরের থেকে বেশি ভালো ব্যবসা করছে। সূত্র – পিআইবি।