সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (সেবি)র ভারত ও লুক্সেমবুর্গের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরের প্রস্তাবকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (সেবি) এবং লুক্সেমবুর্গের ফিনান্সিয়াল অ্যান্ড কমিশন দে সার্ভিলেন্স দ্যু সেকট্যুর ফিনান্সিয়ার(সিএসএসএফ)-এর মধ্যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরের প্রস্তাবটি অনুমোদন পেয়েছে।

উদ্দেশ

এই সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরের ফলে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ এবং নজরদারি সংক্রান্ত দক্ষতা সম্পাদনার কাজে সুবিধা হবে। সীমান্তের অন্য প্রান্তের সহযোগিতার ফলে কারিগরি বিভিন্ন জ্ঞান এবং শেয়ার বাজারের আইন-কানুন ও নিয়মাবলী দুটি দেশে যথাযথভাবে প্রয়োগ হবে।

আরও পড়ুন -  Bhojpuri Song: নিরহুয়া ঘুম উড়িয়ে দিয়েছেন আম্রপালীর, রোমান্সের ভরপুর

মূল প্রভাব :

সেবির মতো সিএসএসএফ-ও ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অফ সিকিউরিটিজ কমিশন্স মাল্টিন্যাশনাল মৌ (আইওএসসিও এমএমওইউ)-এর স্বাক্ষরকারী সদস্য। কিন্তু আইওএসসিও এমএমওইউ-এর কারিগরি সহায়তা দানের সুযোগ নেই। প্রস্তাবিত এই সমঝোতাপত্রের ফলে নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইন যথাযথ প্রয়োগের ক্ষেত্রে তথ্যের আদান-প্রদানের সুযোগ গড়ে উঠবে। এছাড়াও কারিগরি সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। কারিগরি সহায়তার ফলে মূলধন বাজার, দক্ষতা বৃদ্ধি ও কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য আলাপ-আলোচনা চালাতেও সুবিধা হবে।

আরও পড়ুন -  চাকরির সুবর্ণ সুযোগ কলকাতা মেট্রোয়, কীভাবে করতে হবে আবেদন? বিস্তারিত জানুন

প্রেক্ষাপট

সেবি ১৯৯২ সালের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া অনুসারে শেয়ার বাজারকে নিয়ন্ত্রণের জন্য গঠিত হয়েছিল। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা, ভারতে শেয়ার বাজারের মানোন্নয়ন ও বিভিন্ন নিয়ম সঠিকভাবে মেনে চলার ক্ষেত্রে এই সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। নিবন্ধীকরণ, নিয়ন্ত্রণ এবং শেয়ার বাজারের পরিচালনার নজরদারি, বিভিন্ন কাজের অগ্রগতি, ভুয়ো এবং অস্বচ্ছ বাণিজ্যিক লেনদেন আটকানো, বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ জারি করা সেবির অন্যতম কাজ। এরফলে দেশে বা বিদেশে যথাযথভাবে এই সমস্ত তথ্যগুলির সাহায্যে বিভিন্ন কাজ করা যাবে।

আরও পড়ুন -  আবার তৃণমূলে ফিরলেন ছেলেকে নিয়ে, মুকুল রায়, সাড়ে তিন বছর পর

সিএসএসএফ, লুক্সেমবুর্গের একটি সরকারি আইন অনুসারে প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষেত্রে স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থা౼ যেটি ১৯৯৮ সালের ২৩শে ডিসেম্বর গঠিত হয়েছিল। লুক্সেমবুর্গের বীমা ক্ষেত্র ছাড়া বাকি সব আর্থিক ক্ষেত্রে এই সংস্থাটি নজরদারি চালায়। শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি চালানোও এর আর একটি কাজ। সূত্র – পিআইবি।