প্রধানমন্ত্রী সর্বভারতীয় প্রিসাইডিং অফিসারদের ৮০তম সম্মেলনের সমাপ্তি অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গুজরাটের কেভাডিয়ায় সর্বভারতীয় প্রিসাইডিং অফিসারদের ৮০তম সম্মেলনের সমাপ্তি অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আজ এমন একটি দিন, যখন দেশ মহাত্মা গান্ধীর অনুপ্রেরণা ও সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের অঙ্গীকারের কথা মনে রাখবে। ২০০৮ সালের আজকের দিনে মুম্বাইতে জঙ্গী হানায় যাঁরা প্রাণ দিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁদেরও স্মরণ করেছেন। তিনি নিরাপত্তা বাহিনীতে কর্মরত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এবং বলেছেন, আজ ভারত নতুনভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

জরুরি অবস্থার কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেছেন, ১৯৭০ সালে বিকেন্দ্রীকরণের প্রতিকূল কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার জবাবও সংবিধানের মধ্য থেকেই পাওয়া গিয়েছিল। সংবিধানের শোভনীয়তায় হল বিকেন্দ্রীকরণ। জরুরি অবস্থার পরবর্তী ঘটনাবলী থেকে শিক্ষা নিয়ে আইনসভা, কার্যনির্বাহী এবং বিচার ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হয়েছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে ১৩০ কোটি ভারতবাসীর আস্থার কারণে। প্রশাসনের তিনটি শাখাই সময়ে সঙ্গে সঙ্গে শক্তিশালী হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন।

আরও পড়ুন -  Sania Mirza: সানিয়া মির্জা ক্রিকেটে নাম লেখালেন, টেনিস ছেড়ে

শ্রী মোদী বলেছেন, আমাদের সংবিধানের শক্তির মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন সংকটের সময় পার হতে পেরেছি। ভারতীয় নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রাণবন্ত দিক এবং কোভিড মহামারীর সময়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ সেটিকে প্রমাণ করেছে। সম্প্রতি সাংসদরা আরও বেশি কর্মকুশলতার পরিচয় দেওয়ায় এবং কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করার জন্য তাঁদের বেতনের অংশ দান করায় প্রধানমন্ত্রী তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

শ্রী মোদী বিভিন্ন প্রকল্প বকেয়া রাখার মানসিকতার বিরুদ্ধে সকলকে সতর্ক করেছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি সর্দার সরোবরের উদাহরণ দিয়েছেন। বহু বছর ধরে এই প্রকল্পের কাজ না হওয়ায় গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের জনসাধারণ এর বিপুল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। শেষে এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ায় তাঁরা সেই সুবিধা পাচ্ছেন।

আরও পড়ুন -  "দ্য গেম চেঞ্জার"

শ্রী মোদী কর্তব্যের গুরুত্বের বিষয়টিতে জোর দিয়েছেন এবং বলেছেন অধিকার, মর্যাদাবোধ ও আত্মপ্রত্যয়ের উৎসই হল কর্তব্য। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সংবিধানের অনেকগুলি দিক রয়েছে। কিন্তু সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল কর্তব্যবোধ। মহাত্মা গান্ধী এই বিষয়টিতে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন। অধিকার ও কর্তব্যের মধ্যে একটি নিবিড় যোগাযোগ তিনি উল্লেখ করেছেন। তিনি মনে করতেন যখন আমরা আমাদের কর্তব্য পালন করবো, অধিকারগুলি স্বাভাবিকভাবেই রক্ষা কবচ হয়ে উঠবে।’

প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের মূল্যবোধকে ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কেওয়াইসি মানে যেমন আপনার গ্রাহককে জানুন, যার মধ্য দিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা রক্ষিত হয়, একইভাবে কেওয়াইসি আপনার সংবিধানকে জানুন౼ এই ভূমিকাও নিতে পারে। যেখানে সাংবিধানিক নিরাপত্তা সবথেকে বড় রক্ষা কবচ হয়ে উঠবে। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেছেন আমাদের আইনের ভাষা সাধারণ মানুষের কাছে সরল ও বোধগম্য হওয়া উচিত যাতে তাঁরা প্রত্যেকটি আইনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ অনুভব করতে পারেন। পুরনো আইনগুলিকে বাতিলের একটি প্রক্রিয়া থাকা উচিত যেটি হবে সহজ-সরল এবং স্বাভাবিক নিয়মে পুরনো আইনগুলিকে রদ করা যাবে যেমনভাবে আমরা সেগুলির সংশোধন করি।

আরও পড়ুন -  DA Hike: পশ্চিমবঙ্গে সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, ধাপে ধাপে বেতন ও ডিএ মেটানোর উদ্যোগ

প্রধানমন্ত্রী এক দেশ এক নির্বাচনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। তিনি লোকসভা, বিধানসভা ও স্থানীয় পঞ্চায়েতগুলিতে একইসঙ্গে নির্বাচনের আয়োজন করার বিষয়টি উল্লেখ করেন। এরজন্য অভিন্ন ভোটার তালিকা ব্যবহার করা যেতে পারে। আইনসভার কাজকর্মের ক্ষেত্রে ডিজিটাল উদ্ভাবনকে তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী ছাত্র সংসদ আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছেন যেখানে ছাত্রছাত্রীরাই প্রিসাইডিং অফিসারের ভূমিকা পালন করবে। সূত্র – পিআইবি।