জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্তি, বৈচিত্র্য এবং শ্রেষ্ঠত্বের মিশ্রণকেই তুলে ধরে : রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ ভারতের সমস্ত অঞ্চল থেকে এবং সমাজের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)-তে সমান শ্রেষ্ঠ সুযোগের পরিবেশে অধ্যায়ন করে থাকেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়, অন্তর্ভুক্তি, বৈচিত্র্য এবং শ্রেষ্ঠত্বের মিশ্রণকেই তুলে ধরে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি শ্রী রামনাথ কোবিন্দ। জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয় আজ চতুর্থ বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে এক ভিডিও বার্তায় একথা জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারতীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন ছায়া জেএনইউ-তে প্রতিফলিত হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনের বিভিন্ন ভবন, ছাত্রাবাস, সড়ক এবং সুবিধা কেন্দ্রগুলির নামকরণ ভারতীয় ঐতিহ্যকেই তুলে ধরেছে। এই ঐতিহ্য ভারতের সাংস্কৃতিক ও ভৌগলিক চিত্রকেই উপস্থাপন করে। জেএনইউ- উত্তরাধিকারদের এই ভাবধারাকে জোরদার করে তোলা অন্যতম প্রধান কর্তব্য বলে শ্রী কোবিন্দ জানান।

আরও পড়ুন -  Amitabh-Jaya: অমিতাভ অনেক বড় ব্যক্তি, এখনও জয়ার মুখের উপর কথা বলতে পারেন না !

রাষ্ট্রপতি বলেন, জেএনইউ-র চমকৃত ফ্যাকাল্টি মুক্ত বিতর্ক ও ভিন্ন মতামতকে সম্মান প্রদান করেছে। এখানে শিক্ষার্থীদের শিক্ষণের বিষয়কে অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। উচ্চতর শিক্ষা কেমন হওয়া উচিত তা এখানে উঠে এসেছে। শ্রেণীকক্ষের বাইরে ক্যাফেটেরিয়া এবং ধাবাতে সবসময় প্রাণবন্ত আলোচনা চলে।

প্রাচীন ভারতের শিক্ষকতা ও গবেষণার গৌরবময় অতীতকে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আজকের সংকট মোকাবিলায় আমরা তক্ষশিলা, নালন্দা, বিক্রমশিলা এবং বল্লভী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুপ্রেরণা অর্জন করতে পারি। অতীতে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি গবেষণার উচ্চমান প্রতিষ্ঠা করেছিল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষাবীদ ও শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জনের জন্য এই কেন্দ্রগুলিতে আসতেন। সেই প্রাচীন ব্যবস্থায় আধুনিকতার অনেক উপাদান ছিল। আর্যভট্ট, চরক, চানক্য, পানিনি, পতঞ্জলি, গার্গী, মৈত্রেয়ী এবং তিরুভাল্লুভারের মতো মহান বিদ্বান তৈরি হয়েছে এখান থেকেই। তাঁরা চিকিৎসা বিজ্ঞান, গণিত, জ্যোর্তিবিজ্ঞান, ব্যাকারণ এবং সামাজিক বিকাশে অমূল্য অবদান রেখে গেছেন। বিশ্বের অন্যান্য স্থানের লোকেরাও ভারতীয় এই পন্ডিতদের রচনা অনুবাদ করেছেন এবং জ্ঞানের অগ্রগতির জন্য এই শিক্ষাকে ব্যবহার করেছেন। আজকের ভারতীয় পন্ডিতদের এমন এক রূপ তুলে ধরা উচিত যা সমসাময়িক বিশ্বের সমস্যা মোকাবিলায় ব্যবহার করা যেতে পারে। জেএনইউ উচ্চতর শিক্ষার এমন কয়েকটি নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানে মধ্যে রয়েছে যা বিশ্বব্যাপি তুলনামূলক শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারে।

আরও পড়ুন -  রেলের সমস্ত নন গেজেটেড কর্মচারীদের ২০১৯-২০ অর্থ বর্ষের জন্য ৭৮ দিনের বেতনের সমতূল উৎপাদনশীলতা ভিত্তিক বোনাস দেওয়া হবে

কোভিড-১৯ মহামারীর বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, এই মহামারীর কারণে বিশ্ব আজ সংকটে মধ্যে পরেছে। মহামারী ও মহামারী জনিত পরিস্থিতিতে জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে মহামারী, সংক্রমণ, চিকিৎসা, প্রতিষেধক এবং অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদানের পথ দেখিয়েছে। সামাজিক বিষয়গুলির ওপর আরও বেশি অধ্যায়ণ প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি আরও বলেন জেএনইউ-র মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে একে অপরের সঙ্গে হাত ধোরে এই ব্যবস্থাপনায় উন্নতিসাধন করতে হবে এবং শিক্ষার্থী সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্ভাবনের বিষয়ে প্রচার চালাতে হবে। সূত্র – পিআইবি।

আরও পড়ুন -  আনিস-কান্ডে হাওড়ায় বামেদের মিছিল