বিজ্ঞান ও সমাজের মধ্যে নতুন সংযোগ স্থাপন করার জন্য বৈজ্ঞানিক সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রয়োজন : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব ডঃ আশুতোষ শর্মা জানিয়েছেন, বিজ্ঞান ও সমাজের মধ্যে নতুন সংযোগ স্থাপন তৈরির জন্য বৈজ্ঞানীক সামাজিক দায়বদ্ধতা (এসএসআর)-এর নীতিগুলি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কার্যকর করা হবে। বিশ্ব বিজ্ঞান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে একথা জানান তিনি।

শ্রী শর্মা বলেন, বিজ্ঞানকে সমাজের সঙ্গে যুক্ত করে তুলতে পারলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শান্তি এবং উন্নয়ন ক্ষেত্রে অন্যতম শক্তিশালী স্তম্ভ হিসেবে গড়ে উঠবে। তবে, বৃহত্তর সমাজের সঙ্গে বিজ্ঞানের যোগাযোগ গড়ে তোলাই একটি বড় প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তিনি বলেন, বিজ্ঞানকে জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়া দরকার। তবেই সেটি শান্তি ও উন্নয়নে বড় হাতিয়ার হিসেবে উঠে উঠবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর এবং ইউনেস্কোর যৌথভাবে আয়োজিত বিশ্ব বিজ্ঞান দিবসে শান্তি ও উন্নয়নের ওপর আয়োজিত ওয়েবিনারে একথা উল্লেখ করেন তিনি।

আরও পড়ুন -  লকডাউনের মধ্যেই শুটিং চলছে, ! অভিযোগ উঠেছে, ‘এই পথ যদি না শেষ হয় '

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য এবং ন্যায় বিচারের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে অধ্যাপক শর্মা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর পরিচালিত ১০টি ভিন্ন কর্মসূচীর কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভাবন ও উৎকর্ষতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে গবেষণামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন ক্ষেত্রে মহিলাদের উৎসাহিত করে তোলার জন্য বিজ্ঞানজ্যোতি নামে কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে।

প্রতি বছর ১০ই নভেম্ভর বিশ্ববিজ্ঞান দিবস উদযাপিত হয়। এবছরের বিষয় ভাবনা হলো “বিজ্ঞানের জন্য এবং সমাজের সঙ্গে”। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর এবং ইউনেস্কো যৌথভাবে নতুন দিল্লিতে এই বিষয় ভাবনাকে সামনে রেখে একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করে। কোভিড-১৯ মহামারীর গ্রাসে সারা বিশ্বের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, যার প্রভাব পড়েছে প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং বিজ্ঞান ক্ষেত্রে। এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ওয়েবিনারে বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

আরও পড়ুন -  Tara Sutaria: শারীরিক মিলন প্রিয়, খাবারের থেকেওঃ তারা সুতারিয়া

ইউনেস্কোর নতুন দিল্লি শাখার অধিকর্তা এরিক ফাল্ট বলেন, কোভিড-১৯ মাহামারীর কারণে চলতি বছরে বিজ্ঞান ক্ষেত্রকে নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে। বিজ্ঞান প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন টিকা তৈরিতে গুরুত্বপূ্র্ণ ভূমিকা পালন করেছে বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন ক্ষেত্র। এমনকি স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ ও অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী ক্ষেত্র উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে বলেও তিনি জানান। শান্তি ও উন্নয়নের জন্য সকলের সুবিধাযোগ্য মৌলিক জ্ঞান এবং বিজ্ঞান প্রযুক্তি উদ্ভাবনার সাহায্যে তার গুরুত্ব জনসাধাসণের কাছে পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

আরও পড়ুন -  দুয়ারে মদ নয়, কাজ চাইঃ AIDYO

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের আওতাধীন কিরণ বিভাগের প্রধান ডঃ সঞ্জয় মিশ্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর কিভাবে এই কর্মসূচীতে কাজ করে চলেছে সেকথা তুলে ধরেন। ওয়েবিনারের পাশাপাশি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং গণিত ক্ষেত্রে মহিলাদের অবদান বিষয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সূত্র – পিআইবি।