খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষের কম।
মোট সুস্থতার সংখ্যা ৮০ লক্ষ ছাড়িয়েছে, মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১২ কোটির বেশি।
বিশ্বব্যাপী মহামারীর বিরুদ্ধে সমবেত লড়াইয়ে ভারত একাধিক সাফল্যের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। দেশে ১০৬ দিন পর প্রথমবার সুস্পষ্টভাবে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষের নিচে নেমে এসেছে। আজ সুস্পষ্টভাবে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪,৯৪,৬৫৭। গত ২৮ জুলাই এই সংখ্যা ৪,৯৬,৯৮৮। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা লাগাতার কমতে থাকায় মোট আক্রান্তের মধ্যে এখন এই হার দাঁড়িয়েছে ৫.৭৩ শতাংশে।
দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকার একাধিক ইঙ্গিত মিলেছে। দৈনিক ভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমছে। বিশ্বে যখন একাধিক দেশে আক্রান্তের সংখ্যায় ক্রমাগত বৃদ্ধি হচ্ছে, ভারতে তখন তা নিয়মিত ভিত্তিতে কমছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সমবেত, সুনির্দিষ্ট কৌশল এবং পর্যায়ক্রমে গৃহীত কার্যকর ব্যবস্থার মাধ্যমে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই সাফল্য মিলেছে। অবশ্য, এই সাফল্যের পেছনে কোভিড-১৯ সেনানীদের বিশেষ করে, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরলস সেবা রয়েছে।
দেশে ২৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের কম। কেবল আটটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি। মহারাষ্ট্র ও কেরল – এই দুটি রাজ্যে এখনও সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি।
দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ৪৪,২৮১ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, আরোগ্য লাভ করেছেন ৫০,৩২৬ জন। এই নিয়ে পরপর ৩৯ দিন দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা বেশি। মোট সুস্থতার সংখ্যা এবং মোট সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে ফারাক ক্রমাগত বাড়তে থাকার ফলেও আরোগ্য লাভের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে মোট সুস্থতার সংখ্যা ৮০ লক্ষের সীমা ছাড়িয়েছে। আজ এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮০,১৩,৭৮৩। একইভাবে সুস্থতা এবং সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে ফারাক আরও বেড়ে হয়েছে ৭৫,১৯,১২৬। দেশে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯২.৭৯ শতাংশ।
আরও একটি মাইলফলক হিসেবে ভারতে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১২ কোটি ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১১,৫৩,২৯৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। দেশে নমুনা পরীক্ষার পরিকাঠামোয় অপ্রত্যাশিত অগ্রগতির ফলে দৈনিক ভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।
দেশে দৈনিক ভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের কম। ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সদ্য আরোগ্য লাভকারীদের ৭৭ শতাংশই রয়েছেন। মহারাষ্ট্র থেকে একদিনেই সর্বাধিক ৬,৭১৮ জন আরোগ্য লাভ করেছেন। অন্যদিকে, কেরলে আরোগ্য লাভের সংখ্যা ৬,৬৯৮। দিল্লিতে এই সংখ্যা ৬,১৫৭।
সদ্য আক্রান্তদের ৭৮ শতাংশই ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। দিল্লি থেকে একদিনেই সর্বাধিক ৭,৮৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কেরল থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ৬,০১০। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে ৭৯ শতাংশের করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। আলোচ্য সময়ে সারা দেশে করোনায় মারা গেছেন ৫১২ জন। করোনায় মৃত্যু হার আরও কমে হয়েছে ১.৪৮ শতাংশ, যা ক্রমশ নিম্নমুখী।
মহারাষ্ট্র থেকেই একদিনে সর্বাধিক ১১০ জনের করোনায় মৃত্যুর খবর মিলেছে। দিল্লি থেকে মারা গেছেন ৮৩ জন এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৫৩ জন। সূত্র – পিআইবি।