শিল্পাঞ্চলে জলসঙ্কট মেটাতে অভিনব উদ্যোগ — ‘ রাস্তার মাস্টারের ‘

Published By: Khabar India Online | Published On:

টুঙ্কা সাহা, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, আসানসোলঃ শিল্পাঞ্চলে জলসঙ্কট নতুন কোনো বিষয় নয়।কুলটি, জামুড়িয়া সহ, আসানসোল ও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় বছরের বিভিন্ন সময় তীব্র জলসঙ্কটের কথা প্রায় সকলেরই জানা।পানীয় জলের জন্য দীর্ঘ লাইন শিল্পাঞ্চলের মানুষদের মধ্যে অসন্তোষ, ঝগড়া, মারামারি একটি অতি সাধারণ ঘতনা।বর্তমানে সেই ঘটনা আরো তীব্র মাপের আকার ধারণ করল দুর্গাপুর ব্যারেজের ৩১ নম্বর লকগেট ভেঙে যাওয়ার ফলে।
এবার সেই সমস্যা সমাধানে অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করলেন ‘রাস্তার মাস্টার” শ্রী দীপ নারায়ণ নায়ক ( শিক্ষক, তিলকা মাঝি আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়, জামুড়িয়া ১ চক্র, পশ্চিম বর্ধমান)। শিল্পাঞ্চলের মানুষের পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে তিনি রাস্তার উপরে থাকা সরকারি কলগুলিতে কলের মুখ লাগানোর ব্যবস্থা করেন।এখনো পর্যন্ত তিনি নন্ডী, জামুড়িয়া,নিমডাঙা, জবাসহ শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে কয়েকশো কলের মুখ লাগিয়ে নজির সৃষ্টি করেছেন।

আরও পড়ুন -  Saraswati Puja 2025: সরস্বতী পুজো ২০২৫, কবে করবেন পুজো? জেনে নিন সঠিক তিথি ও সময়

এ ব্যাপারে ‘রাস্তার মাস্টার ‘কে জিজ্ঞাস করা হলে তিনি বলেন শিল্পাঞ্চলের মানুষের জলের চাহিদা পূরণের জন্য সরকার প্রায় লক্ষাধিক কল গড়ে তুলেছেন, কিন্তু সমস্যাটি শুরু হয় ঠিক এর পর থেকে।বাস্তবে দেখা যায় এই লক্ষাধিক কলের মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কলের মুখ নেই।এর ফলে প্রতিদিন প্রায় কয়েক লক্ষ লিটার পানীয় জলের অপচয় হচ্ছে। শুধুমাত্র একটি কলের মুখ কয়েক লক্ষ লিটার পানীয় জলের অপচয় রোধ করতে পারে ও একইসঙ্গে পানীয়জলের সঙ্কটের সমস্যা মেটাতে পারে।তিনি আরো বলেন এর মাধ্যমে একদিকে যেমন জলসঙ্কটের সমস্যা মেটানো সম্ভব অন্য দিকে তেমনি মানুষকে জলের প্রয়োজনিয়তা ও জল সংরক্ষণ সম্বন্ধেও সচেতন করা সম্ভব।

আরও পড়ুন -  ‘খাদি এসেনসিয়াল’ এবং ‘খাদি গ্লোবাল’কে খাদি ব্র্যান্ড ব্যবহার করার অভিযোগে কেভিআইসি জালিয়াতির আইনী নোটিশ পাঠিয়েছে

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তাঁর এই অভিনব উদ্যোগকে সাফল্যমণ্ডিত করতে উনার সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে উনার ছাত্রছাত্রীরা। তারাই গ্রামের কোন কোন কলের মুখ নেই, কোথায় অযথা জলের অপচয় হচ্ছে তা শনাক্ত দীপ স্যারকে জানায়।আর দীপ স্যার তাদের নিয়ে সেখানে গিয়ে কলের মুখ লাগিয়ে জলের জলের অপচয় বন্ধ করেন।এ বিষয়ে তিলকা মাঝি আদিবাসী বিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী নমিতা বক্সি ও কোয়েল মুরমু- এর সাথে কথা বলা হলে তারা বলে ‘ জলই জীবন। আমারা কেউ জলের অপচয় করব না,কাউকে করতে দেবও না ‘।

আরও পড়ুন -  ১৮ বছর না হলে এই ওয়েব সিরিজ দেখবেন না, বড়দের ঘুম চটকে যাবে – HOT WEB SERIES