খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, কলকাতাঃ আইআইটি খড়গপুর ‘ভারতীয় সত্ত্বার আত্মসমীক্ষা ও ভারত তীর্থ ‘এবং গবেষণার মাধ্যমে সঠিক দিশায় কাজ করছে : ডঃ রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক
শিক্ষামন্ত্রী মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদান ও সংস্কৃতের পুনরুজ্জীবনের ওপর গুরুত্ব দিলেন
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ডঃ রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক ঘোষণা করেছেন আইআইটি খড়গপুরে ইন্ডিয়ান নলেজ সিস্টেমের জন্য উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। আইআইটি খড়গপুর আয়োজিত ‘ভারত তীর্থ’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারের উদ্বোধন করে ডঃ নিশাঙ্ক এই ঘোষণাটি করেন আজ। এই ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখাকালীন সময় তিনি ভারতীয় জ্ঞান চর্চার বিভিন্ন শাখায় এই প্রতিষ্ঠানের বহুমুখী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মন্ত্রী, মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদান ও সংস্কৃতের পুনরুজ্জীবনের ওপর-ও গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, এই ধরণের উদ্যোগ নিলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৈচিত্র্যময় মাতৃভাষাসমূহ সমৃদ্ধ হবে এবং একই সঙ্গে ভারতের সমৃদ্ধশালী শিক্ষার ঐতিহ্য সম্পর্কে মানুষ অবগত হবেন। কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থাকে সাহায্যের জন্য জাতীয় স্তরে একটি এডুকেশন টেকনোলজি ফোরাম গঠনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ডঃ পোখরিয়াল বলেন, এরফলে গবেষকরা ভারতীয় বিজ্ঞানচর্চা ও এদেশের ভাষাগত ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণা কাজে উৎসাহী হবেন। এই প্রসঙ্গে তিনি ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া’, জিআইএএন, জিআইএএন+ সহ অন্যান্য গবেষণামূলক বিভিন্ন কর্মসূচির কথা জানান। এরফলে, আন্তর্জাতিক স্তরে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি হবে এবং ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়ন ঘটবে।
অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি হিসেবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা, যোগাযোগ, বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রী সঞ্জয় ধোতরে উপস্থিত ছিলেন। তিনি ভারতীয় জ্ঞান চর্চার বিষয়ে বর্তমান যুগে আরও ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষার আহ্বান জানান। তিনি আশাপ্রকাশ করে বলেন, ২০২০র জাতীয় শিক্ষা নীতি ভারতীয় সত্ত্বাকে আরও বিকশিত করতে সাহায্য করবে।
আইআইটি খড়গপুরের নির্দেশক অধ্যাপক বীরেন্দ্র কে তিওয়ারি, শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার ব্যবস্থায় ভারতীয় বিজ্ঞান চর্চার ঐতিহ্যের ওপর যাঁরা গবেষণা করবেন তাঁদের জন্য-ও স্বীকৃতির প্রস্তাব দেন।
তিন দিনের এই ওয়েবিনারে ভারততত্ত্ব বিষয়ে ওপর আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রাখবেন। এরমধ্যে অর্থশাস্ত্র, সংস্কৃত ভাষার স্বাভাবিক নিয়মে বিবর্তন, বৈদিক ও প্রাচীন ভারতের গণিত শাস্ত্র- সংখ্যাতত্ত্ব, বীজগণিত ও জ্যামিতি, রসায়ন, আয়ুর্বেদ, জ্যোতির্তত্ত্ব, মহাজাগতিক বিদ্যা, প্রকৃতি বিদ্যা এবং নন্দনতত্ত্ব তথা বাস্তুবিদ্যা নিয়ে-ও আলোচনা হবে। সূত্র – পিআইবি।