খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ ভারতে বিগত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রত্যেকদিনই নতুন করে আরোগ্যের সংখ্যা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যার থেকে বেশি রয়েছে।
বিগত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজার ৩৫৬ জন। অন্যদিকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৩ হাজার ৯২০ জন। এই ধারাবাহিকতা বিগত ৫ সপ্তাহ ধরে বজায় রয়েছে। বর্তমানে করোনা সক্রিয় মামলায় হ্রাসের ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ১৬ হাজারে।
বিগত ৫ সপ্তাহে নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ক্রমশই কমছে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে যেখানে প্রত্যেকদিন গড়ে ৭৩ হাজার করে মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতেন ,সেখানে এখন কমে গড়ে ৪৬ হাজার করে দাঁড়িয়েছে।
সক্রিয় রোগীর সংখ্যা আজ পর্যন্ত ৫ লক্ষ ১৬ হাজার ৬৩২ জন। দেশে সক্রিয় রোগীর হার ৬.১১ শতাংশ।
এই নিয়ে দেশে মোট আরোগ্য লাভ করেছেন ৭৮ লক্ষ ১৯ হাজার ৮৮৬ জন। দেশে করোনায় সুস্থতার হার ৯২.৪১ শতাংশ। বর্তমানে আরোগ্যের সংখ্যা এবং সক্রিয় রোগীর সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য দাঁড়িয়েছে ৭৩ লক্ষ ৩ হাজার ২৫৪।
১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নতুন করে আরোগ্যের হার ৭৯ শতাংশে পৌঁছেছে।
মহারাষ্ট্রে একদিনে আরোগ্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৬০। এই নিয়ে সে রাজ্যে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ লক্ষ ৬২ হাজার ৩৪২ জন। দেশের এই গতিপ্রকৃতির দিকে লক্ষ্য রাখলে দেখা যাবে ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আরোগ্যের হার জাতীয় গড়ের থেকে বেশি।
১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নতুন করে করোনা সংক্রমণের হার ৭৭ শতাংশ।
মহারাষ্ট্র ও কেরালাকে ছাড়িয়ে দিল্লীতে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ১৭৮ জন। গতকাল কেরালায় ৭ হাজার ২ এবং মহারাষ্ট্রে ৬ হাজার ৮৭০ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৭৭ জনের।
এক্ষেত্রে ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মৃত্যুর হার ৮৩ শতাংশের কাছাকাছি। মহারাষ্ট্রে ১৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দিল্লীতে আরও ৬৪ এবং পশ্চিমবঙ্গে আরও ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সূত্র – পিআইবি।