খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) হিরকজয়ন্তী বর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে ৫ ও ৬ই নভেম্বর ২ দিনের একটি ওয়েবিনার আয়োজন করতে চলেছে। ওয়েবিনারের মূল বিষয় ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা – এক দশক এগিয়ে। প্রতিরক্ষা সচিব ড. অজয় কুমার এবং এনডিসি-র কম্যান্ডেন্ট এয়ার মার্শল ডি. চৌধুরী আজ নতুন দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান।
ড. অজয় কুমার বলেন, মেধা ও বিচক্ষণতার বিকাশে তথা সেনাবাহিনীর ও সিভিল সার্ভিসের মুষ্ঠিমেয় কয়েকজন সিনিওর আধিকারিকদের কৌশলগত প্রশিক্ষণের দিক থেকে এনসিডি, বিশ্বের অন্যতম একটি অগ্রণী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে বিদেশের সেনাবাহিনীর আধিকারিক ও সিভিল সার্ভিসের আধিকারিকরা প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। ১৯৬০ সালে মোট ২১জন আধিকারিককে নিয়ে এনডিসি-র প্রথম কোর্সের সূচনা হয়েছিল। হিরকজয়ন্তী বর্ষে এনডিসি-তে প্রশিক্ষণরত এধরণের আধিকারিক সংখ্যা ১০০। এর মধ্যে ৭৫জন ভারতীয় এবং ২৫ জন বন্ধুমনোভাবাপন্ন রাষ্ট্রগুলির। তিনি আরো বলেন, সেনাবাহিনী ও সিভিল সার্ভিস উভয় ক্ষেত্রেই মর্যাদাপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কোর্স থেকে উত্তীর্ণ প্রাক্তণীরা জনজীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্ত থেকেছেন। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তণীদের মধ্যে রয়েছেন, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ, ২ জন রাজ্যপাল, বর্তমান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, ২ জন নির্বাচন কমিশনার, ৩০ জন সেনা আধিকারিক, ৭৪ জন ফরেন সার্ভিস আধিকারিক, ২০জনের বেশি রাষ্ট্রদূত, ৪ জন প্রতিরক্ষা সচিব এবং ৫ জন বিদেশ সচিব।
২ দিনের এই ওয়েবিনারের মূল ভাবনা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা – এক দশক এগিয়ে শীর্ষক বিষয়ে আগামীকাল মূল ভাষণ দেবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং।
প্রতিরক্ষা সচিব ড. অজয় কুমার সাংবাদিক সম্মেলনে আরো জানান, ভারতের বন্ধুমনোভাবাপন্ন দেশগুলির কাছ থেকে এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নের জন্য চাহিদা বাড়তে থাকায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, ২০২১ সালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের আসন সংখ্যা ১০০ থেকে বাড়িয়ে ১১০ করার এবং ২০২২ সালে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ১২০ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। এর ফলে প্রতিবেশী মায়ানমার, নেপাল, বাংলাদেশের পাশাপাশি উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, ফিলিপিন্স, ইন্দোনেশিয়া ও মালদ্বীপের আরো বেশি সংখ্যক আধিকারিকরা এখানে অধ্যায়নের সুযোগ পাবেন।
ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কম্যান্ডেন্ট এয়ার মার্শাল ডি. চৌধুরী জানিয়েছেন, কোভিড – ১৯ জটিলতা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানের কর্মসূচী অনলাইনে গত মার্চ থেকে কোনো রকম কাটছাট ছাড়াই পরিচালিত হয়েছে। সূত্র – পিআইবি।