উত্তর প্রদেশে পিএম স্বনিধি যোজনার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মতবিনিময় করেছেন

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেদ্র মোদী উত্তরপ্রদেশে পিএম স্বনিধি যোজনা প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় করেছেন।

মতবিনিময়ের সময়ে প্রধানমন্ত্রী সুবিধাভোগীদের ডিজিটাল লেনদেনের বিভিন্ন সুবিধার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। উপকৃতরা কিভাবে ক্যাশব্যাকের সুবিধা পাবেন, তিনি সেবিষয়েও জানিয়েছেন। শ্রী মোদী বলেছেন, এই টাকার মাধ্যমে একজন যথাযথ শিক্ষা পেতে পারেন এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারেন।

প্রধানমন্ত্রী এর পর তাঁর ভাষণে জানান, আগে বেতনভুক কর্মচারীদের কাছেও ব্যাঙ্কে গিয়ে ঋণ নেওয়ার বিষয়টা খুব সমস্যার ছিল, আর গরীব এবং রাস্তার হকাররাতো ব্যাঙ্কে গিয়ে এবিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথা ভাবতেই পারতেন না। কিন্তু এখন ব্যাঙ্ক, মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছচ্ছে এবং জনসাধারণকে নতুন কিছু করার জন্য ঋণের ব্যবস্থা করছে।

প্রধানমন্ত্রী, সুবিধাভোগীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, তাদের উদ্যোগের কারণে দরিদ্র মানুষেরা উৎসব উদযাপন করতে পারবেন। আত্মনির্ভর ভারতের জন্য আজকের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রাস্তার হকাররা আজ সম্মানিত হলেন। আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দেশ তাঁদের অবদানকে স্বীকৃতি দিল। তিনি বলেছেন, করোনা মহামারীর শুরুতে দেশ ভাবছিল কিভাবে কর্মচারীরা এই সমস্যার মোকাবিলা করতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশের কর্মচারীরা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, যে কোনো চ্য়ালেঞ্জের মোকাবিলা করতে তারা প্রস্তুত এবং যুদ্ধে লড়াই করে তারা জয় লাভ করতে পারেন।

আরও পড়ুন -  ইয়েলো অ্যালার্ট জারি, বাংলায় দুর্যোগের সম্ভাবনা, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘূর্ণাবর্ত

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকার, ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার গরীব কল্যাণ যোজনা শুরু করেছে, যার মাধ্যমে মহামারীর সময়ে দরিদ্র মানুষদের দুর্দশা লাঘব হবে। রাস্তার হকাররা তাদের কাজ আবারও শুরু করবেন এবং আত্মনির্ভর হয়ে উঠবেন এটা ভাবতে পেরে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

শ্রী মোদী, দেশজুড়ে যেভাবে দ্রুততার সঙ্গে এই কর্মসূচী বাস্তবায়িত হচ্ছে, তিনি তার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, স্বনিধি প্রকল্পে ঋণের জন্য কোনো গ্যারান্টারের প্রয়োজন নেই এবং ঋণ অনুমোদনের প্রক্রিয়াটি নিঝঞ্ঝাট। যে কেউ আবেদনের দরখাস্ত কমন সার্ভিস সেন্টার, পুরসভার অফিসে অথবা ব্যাঙ্কে গিয়ে অনলাইনে আপলোড করতে পারবেন।

আরও পড়ুন -  শরীর কেঁপে যাবে Neha Singh-এর সেক্সি ভিডিও দেখলে, একা দেখুন

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্বাধীনতার পর এই প্রথম রাস্তার হকাররা আয়ত্বের মধ্যে ঋণ পাবেন। উত্তর প্রদেশ থেকে শহরের রাস্তার হকাররা সবচাইতে বেশি ঋণের জন্য আবেদন করেছেন। দেশে ২৫ লক্ষ আবেদনের মধ্যে সাড়ে ৬ লক্ষের বেশি আবেদন উত্তর প্রদেশ থেকে এসেছে। এর মধ্যে ৪ লক্ষ ২৫ হাজার আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, উত্তর প্রদেশে স্বনিধি প্রকল্পের ঋণ সংক্রান্ত চুক্তির ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি মুকুব করে দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী, মহামারীর এই সময়ে ৬ লক্ষ হকারকে ১ হাজার টাকা করে সাহায্য দেবার উত্তর প্রদেশ সরকারের সিদ্ধান্তকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, স্বনিধি প্রকল্পে রাস্তার যে সব হকারদের ঋণ দেওয়া হবে, তারা সঠিক সময়ে তাদের ঋণ পরিশোধ করলে প্রমাণিত হবে যে, যারা কম টাকা ধার নেন, তারা আসলে খুবই সৎ এবং আন্তরিক।
প্রধানমন্ত্রী, এই প্রকল্পের বিষয়ে আরো বেশি করে প্রচারের জন্য় সকলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই প্রকল্পে ঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধ করলে সুদের ওপর ৭ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে। আর ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় লেনদেন করলে প্রতিমাসে ১০০ টাকা ক্যাশব্যাক পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন -  দুর্গাপূজো ২০২৪: এই ৩ রাশির জন্য আসছে সৌভাগ্যের জোয়ার, বাড়বে ব্যাংক ব্যালেন্স, মিলবে বিয়ের সুযোগ

প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে বলেছেন, জনধন অ্যাকাউন্টের সাফল্যের সম্পর্কে মানুষ দ্বিধান্বিত ছিল। কিন্তু এর মাধ্যমেই সঙ্কটের এই সময়ে দরিদ্র মানুষদের সাহায্য করা হচ্ছে।

দরিদ্র মানুষদের কল্যাণে সরকার কি কি উদ্যোগ নিয়েছে, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন।
এই উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী রাস্তার হকার, শ্রমিক ও কৃষকদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, তাঁদের ব্যবসা বাণিজ্যে এবং জীবনযাত্রার উন্নতিতে সরকার, সব ধরণের উদ্যোগ নেবে। সূত্র – পিআইবি।