ভারতের হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে সিএসআইআর-আইএইচবিটি, আসাফোইটিডা (হিং)-এর চাষ শুরু করলো

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ পালামপুরের ইন্সটিটিউট অফ হিমালয়ান বায়োরিসোর্স টেকনোলজি (আইএইচবিটি) বিজ্ঞান ও কারিগরি গবেষণা পরিষদের অধীনস্থ একটি সংস্থা।এই সংস্থা হিমাচলপ্রদেশের প্রত্যন্ত লাহুল উপত্যকায় কৃষকদের হিং চাষে উৎসাহিত করেছে। এই অঞ্চলের শীতল মরুভূমি এলাকা অনাবাদী। সিএসআইআর-আইএইচবিটি আসাফোইটিডা বা হিং-এর বীজ ইরান থেকে নিয়ে এসে তাতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ঘটিয়েছে।

আসাফোইটিডা হল অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মশলা। ভারতে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। প্রতি বছর আফগানিস্তান, ইরান এবং উজবেকিস্তান থেকে ভারত ১২০০ টন অপরিশোধিত আসাফোইটিডা আমদানি করে। যেহেতু ভারতে ফেরুলা আসাফোইটিডা গাছ পাওয়া যায়না তাই এর চাষ করার ক্ষেত্রে বেশ সমস্যা ছিল। সিএসআইআর-আইএইচবিটি-র নির্দেশক ডঃ সঞ্জয় কুমার ভারতে আসাফোইটিডা চাষের জন্য উদ্যোগী হন। লাহুল উপত্যকার কোয়ারিং গ্রামে এক কৃষককে ১৫ই অক্টোবর তিনি এর চাষ করতে উৎসাহ দেন। সিএসআইআর-আইএইচবিটি ২০১৫ সালে আইসিএআর-এর ন্যাশনাল ব্যুরো অফ প্ল্যান্ট জেনেরিক রিসোর্সেস (আইসিএআর-এনবিপিজিআর) ইরান থেকে ৬ রকমের বীজ নিয়ে আসে। সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে রিবলিং, লাহুল এবং স্পিতিতে তারা ২০১৮ সাল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এর চাষ শুরু করে। এই গাছ শুকনো এবং শীতল পরিবেশে বেড়ে ওঠে। তাই ভারতের হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে আসাফোইটিডা-র চাষ করা সুবিধাজনক।এর শিকড়ে ওলেওগাম রজন উৎপন্ন হতে প্রায় ৫ বছর লাগে।

আরও পড়ুন -  মমতা সরকারের নতুন স্কিম

ফেরুলা আসাফোইটিডা-র শিকড় থেকে ওলেওগাম রজন সংগ্রহ করা হয় ঠিকই, কিন্তু ভারতে ফেরুলা আসাফোইটিডা প্রজাতির উদ্ভিদ ছিলনা। যদিও হিমাচল প্রদেশের চাম্বায় ফেরুলা জাইস্কিনা এবং কাশ্মীর ও লাদাখে ফেরুলা নারথেক্স পাওয়া যায় কিন্তু সেগুলি থেকে হিং পাওয়া যায় না। আসলে সারা বিশ্বে ১৩০ রকমের ফেরুলা থাকলেও শুধুমাত্র ফেরুলা আসাফোইটিডা থেকেই হিং পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন -  One Nation One Election: এক দেশ এক নির্বাচন, মোদি সরকারের পদক্ষেপ, আসছে নতুন বিল

হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এ বছরে তাঁর বাজেট ভাষণে রাজ্যে হিং চাষের উদ্যোগের কথা ঘোষণা করেছিলেন। হিমাচলপ্রদেশের কৃষি দপ্তরের সঙ্গে এই মর্মে ৬ই জুন সিএসআইআর-আইএইচবিটি একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এরপর ২০-২২ জুলাই রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ১২ জন কৃষি আধিকারিক হিং চাষের বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন। এরপর লাহুল উপত্যকার মাধগ্রান, বিলিং এবং কেলং–এ হিং-এর চাষ করার জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়, যাতে আসাফোইটিডা-র বীজ উৎপাদন এবং বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা যায়। সূত্র – পিআইবি।

আরও পড়ুন -  High Risk: ‘উচ্চ ঝুঁকি’র দেশ থেকে আসা ৬ জনের করোনা শনাক্ত