কোভিড সংক্রমণ আটকাতে রাজ্যগুলিকে সক্রিয় হবার আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে মৃত্যুর হার এক শতাংশর কম রাখা যায়

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কোভিডের কারণে মৃত্যুর হার বেশী এরকম ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের সঙ্গে ক্যাবিনেট সচিবের পর্যালোচনা বৈঠক।
কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব আজ পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাডু, কর্ণাটক, তেলেঙ্গনা, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, অন্ধ্র প্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীর ౼ এই ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য সচিব ও স্বাস্থ্য সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব, আইসিএমআর–এর মহানির্দেশক, নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এই নয়টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কোভিড মোকাবিলার ব্যবস্থাপনা ও কৌশলের বিষয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠকে পর্যালোচনা করা হয়েছে।

এই রাজ্যগুলি ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। যে সব জেলায় কোভিড সংক্রমিতদের মৃত্যুর হার বেশী সেই সব অঞ্চল আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে নমুনা পরীক্ষা করা, সংক্রমিতদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন, তাঁদের শনাক্ত করা, হোম আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা, অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতালের শয্যা, অক্সিজেনের প্রতুলতা এবং যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে কোভিড সংক্রমিতদের মধ্যে ৮৯%-ই এই রাজ্যগুলি ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মারা গেছেন। তাই সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল যেন সংক্রমণ প্রতিহত করার বিষয়ে সতর্ক পদক্ষেপ নেয় সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে মৃত্যুর হার কমানো যায়।

আরও পড়ুন -  Disha Patani: দিশা পাটানি এবার সমালোচনার মুখে

রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে যে বিষয়গুলিতে নজর রাখতে বলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছেঃ-

১। সংক্রমণ যথাযথভাবে প্রতিহত করা, সংক্রমিতদের সংস্পর্শে যারা যারা আসবেন, তাঁদের শনাক্ত করে নজরদারীর ব্যবস্থা করা
২। নতুন যারা সংক্রমিত হবেন তাঁদের মধ্যে ৮০%কে এবং তাঁদের সংস্পর্শে যারা যারা আসবেন তাঁদের সকলকে শনাক্ত করে ৭২ ঘন্টার মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করা
৩। এই জেলাগুলিতে সংক্রমিতের হার ৫%র নীচে নামিয়ে আনার জন্য দৈনিক ১০লক্ষ জন পিছু ন্যূনতম ১৪০টি নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা
৪। কনটেনমেন্ট এলাকায় অ্যান্টিজেন টেস্ট বাড়ানো, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটানো , যাঁদের সংক্রমণের লক্ষণ নেই তাঁদের আরটি-পিসিআরের ব্যবস্থা করা
৫। যারা হোম আইসোলেশনে থাকবেন , তাঁদের টেলিফোন করে বা বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যর বিষয়ে খোঁজ নেওয়া, অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা
৬। অ্যাম্বুলেন্স যাতে সহজেই পাওয়া যায় , তার জন্য সর্বত্র অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা ও হাসপাতালে শয্যার বিষয়ে তথ্য জানানো
৭। প্রতি ক্ষেত্রে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করে প্রাণ বাঁচানো
৮। যাঁদের অন্য জটিল অসুখ আছে, যাঁদের বয়স ৬০-এর বেশী তাঁদের প্রতি বেশী নজর দেওয়া এবং প্রতি সপ্তাহে সব স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মৃত্যুর হার পর্যালোচনা করা
৯। কোভিড নির্ধারিত ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতির নিয়মিত তথ্য প্রকাশ
১০। প্রয়োজনীয় ওষুধ, মাস্ক, পিপিই কিট সহ সব রকমের সরঞ্জাম আছে কিনা তা নিশ্চিত করা
১১। সব জায়গায় শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা হচ্ছে কিনা, মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, হাঁচি কাশির বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করার দিকগুলির বিষয়ে নজরদারী চালাতে হবে।

আরও পড়ুন -  রাতের বেলায় পাগল হয়ে গেলেন আম্রপালি দুবে, দিনেশ লাল যাদবের প্রেমে

এ সবের মাধ্যমে ওই সব জেলায় মৃত্যুর হার ১%-র কম করতে হবে। বৈঠকে ক্যাবিনেট সচিব কোভিড-১৯ এর মোকাবিলায় কি কি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে তা ব্যাখ্যা করেন। রাজ্যগুলি এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিরা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাঁরা কি কি ব্যবস্থা নিয়েছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। সূত্র – পিআইবি।

আরও পড়ুন -  মদ্যপ অবস্থায় এক দম্পতিকে মারধোর এবং বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে