জাহাজ চলাচল মন্ত্রক ভারতীয় বন্দরগুলিতে এবং চার্টার্ড বিমানের মাধ্যমে ১ লক্ষের বেশি জাহাজ কর্মীর ‘ক্রু চেঞ্জ” প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ জাহাজ চলাচল মন্ত্রক বিভিন্ন জাহাজের ১ লক্ষেরও বেশি কর্মীকে “ক্রু চেঞ্জ” প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভারতীয় বন্দরগুলিতে এবং চার্টার্ড প্লেনের মাধ্যমে দেশে নিয়ে এসেছে। বিশ্বে এটিই সবথেকে বেশি সংখ্যায় জাহাজ কর্মীদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ। একটি জাহাজের একদল কর্মীকে আর একটি জাহাজে নিয়ে যাওয়া এবং জাহাজের বন্দরে ঢোকা ও বন্দর থেকে বেরনো নিশ্চিত করার প্রক্রিয়ায় ‘ক্রু চেঞ্জ’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। করোনা মহামারী সমুদ্রে জাহাজ চলাচল ব্যবস্থাকে সবথেকে বেশি সংকটের মধ্যে ঠেলে দিয়েছিল। কিন্তু এ সব সত্ত্বেও সব ভারতীয় বন্দর নিজেদের কাজকর্ম স্বাভাবিক রেখেছে এবং মহামারীর এই সময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ভারত এবং বিশ্বের জন্য নির্বিঘ্নে সরবরাহ শৃঙ্খল বজায় রাখা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন এবং যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপিত হওয়ায় জাহাজ কর্মীরা বেশ সংকটের মধ্যে পড়েছিলেন।

আরও পড়ুন -  মোদি সরকারের বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি অর্থ পাবে

কেন্দ্রীয় জাহাজ চলাচল দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী শ্রী মনসুখ মান্ডভিয়া জাহাজ চলাচল দপ্তরের মহানির্দেশককে এই প্রক্রিয়া যথাযথভাবে পরিচালনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মন্ত্রী মহানির্দেশককে একটি জন-অভিযোগ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। জাহাজ কর্মীরা যাতে সংকটের এই সময়ে মন্ত্রকের সঙ্গে সহজেই যোগাযোগ করতে পারে, শ্রী মান্ডভিয়া সেই বিষয়ে খেয়াল রাখারও পরামর্শ দেন। কোনও কর্মী যাতে জন-অভিযোগ ব্যবস্থায় সংকটের মুখে না পড়েন সেটি নিশ্চিত করতে বলা হয়। মহামারীর এই সময়ে জাহাজে কর্মীদের পরিবহন নিশ্চিত করতে দপ্তরের মহানির্দেশক একগুচ্ছ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এরমধ্যে রয়েছে বিভিন্ন সার্টিফিকেটের সময়সীমা বাড়ানো, অনলাইনের মাধ্যমে ই-পাসের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।

আরও পড়ুন -  Cyclone News: ঘূর্ণিঝড় রিমেল বাংলায় কেমন প্রভাব ফেলবে?

জাহাজ চলাচল দপ্তরের মহানির্দেশক ২ হাজারের বেশি জাহাজ চলাচল সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ই-মেল, ট্যুইট এবং চিঠির মাধ্যমে তাদের চাহিদার বিষয়ে জানতে পারেন। এরপরই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দপ্তর এইসময়ে অনলাইনের মাধ্যমে ভার্চুয়াল কোর্সের ব্যবস্থা করে। ৩৫ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী এই পরীক্ষায় বসেন। অনলাইনের মাধ্যমে চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সূত্র – পিআইবি।

আরও পড়ুন -  SAF Championship: সাফ চ্যাম্পিয়ন ভারত