কলকাতার কাস্টমস্ বিভাগের আধিকারিকরা ৩৫ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা মূল্যের ২৫টি প্রাচীন মূর্তি বাজেয়াপ্ত করেছে

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, কলকাতাঃ সমগ্র বিশ্ব কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালাচ্ছে। জটিল এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পরস্পরের সঙ্গে পণ্যসামগ্রী ও অত্যাবশ্যক জিনিসপত্রের সীমান্ত পারের চলাচলে অভিনব পন্থা খুঁজে বের করার কাজে যুক্ত রয়েছে। সর্বত্রই মানবজাতির কল্যাণে একাধিক নজির বিহীন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক স্তরে মহামারী সঙ্কটের মোকাবিলায় ইতিবাচক ও আন্তরিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কিছু অসাধু ব্যক্তি মহামারীর এই সুযোগকে চোরাচালান তথা অবৈধ কাজকর্ম চালানোর সুযোগ হিসাবে বেছে নিয়েছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের কোভিড সেনানীরা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে সুগম করার কাজে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। চোরাচালান প্রতিরোধেও সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন শুল্ক বা কাস্টমস্ কমিশারেটের কার্যালয়ের সদাসতর্ক আধিকারিকরা সম্প্রতি ভারতীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন ধরণের অনুপম নিদর্শনের অবৈধ পাচার রুখতে এবং চোরাচালান রোধে এক সুসংগঠিত অভিযান চালিয়েছেন।

আরও পড়ুন -  খুঁজে পাওয়া

কমিশনারেটের আধিকারিকরা গত ২৩শে অগাস্ট রাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে ২৫টি প্রাচীন নিদর্শনের চোরাচালান রুখতে সক্ষম হয়েছেন। ভারতীয় সংস্কৃতির এই ২৫টি অনুপম নিদর্শন কালিয়াগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ধান বোঝাই একটি লরির ভেতরে করে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছিল। অমূল্য এই শিল্প নিদর্শনগুলি ভারতীয় ঐতিহ্যের অভিন্ন অঙ্গ। উদ্ধার হওয়া ২৫টি নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে – দেবী পার্বতী, মনসা দেবী, ভগবান বিষ্ণু ও ভগবান সূর্যের ৭টি পাথরের মূর্তি; ব্রোঞ্জ ও অষ্টধাতু নির্মিত ৭টি ধাতব নিদর্শন এগুলি হিন্দু ও জৈন মন্দিরে পূজিত হয়ে থাকে। এছাড়াও, ১১টি টেরাকোটা মূর্তিও রয়েছে। উদ্ধার হওয়া ২৫টি প্রাচীন নিদর্শন খ্রীষ্টপূর্ব নবম শতাব্দী থেকে ষোড়শ শতাব্দীর বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন -  রুনা লায়লাঃ বেঁচে থাকবে তার সৃষ্টি চিরকাল, হারিয়েছি বিশাল প্রতিভাকে

শিলিগুড়িতে উত্তর বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অক্ষম কুমার মৈত্র সংগ্রহালয়ের বিশেষজ্ঞরা উদ্ধার হওয়া প্রাচীন মূর্তিগুলি প্রকৃত পক্ষেই খ্রীষ্টপূর্ব নবম থেকে ষোড়শ শতাব্দীর কিনা তা খতিয়ে দেখেছেন এবং প্রতিটি মূর্তির গুণমান ও যথার্থতা যাচাই করে জানিয়েছেন, সম্মিলিতভাবে এগুলির বাজার মূল্য প্রায় ৩৫ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা।

আরও পড়ুন -  পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হোম ডিপার্টমেন্টের নতুন নির্দেশিকা

সাম্প্রতিককালে এটিই ছিল শুল্ক দপ্তরের সর্ববৃহৎ প্রাচীন নিদর্শন উদ্ধার অভিযান। কলকাতা জোনের মুখ্য শুল্ক কমিশনার, আধিকারিকদের এই প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। উল্লেখ করা যেতে পারে এর আগে শুল্ক কমিশনারেটের আধিকারিকরা ৭টি প্রাচীন মূর্তি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিলেন, যেগুলির বাজার মূল্য ছিল ১১ কোটি টাকা। কমিশনারেটের কর্মী ও আধিকারিকরা চোরাচালান রোধে যাবতীয় সন্দেহজনক কর্মকান্ডের ব্যাপারে সর্বদা সজাগ রয়েছেন। সূত্র – পিআইবি।