খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ বিহার, ঝাড়খণ্ড, মধ্য প্রদেশ, ওড়িশা, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশ-৬টি রাজ্যে গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযানের অধীনে ৫.৫ লক্ষেরও বেশি শ্রমদিবস তৈরি করেছে।
ভারতীয় রেল বিহার, ঝাড়খণ্ড, মধ্য প্রদেশ, ওড়িশা, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশ-৬টি রাজ্যে গরিব কল্যাণ রোজার অভিযানের অধীনে ৫.৫ লক্ষেরও বেশি শ্রমদিবস তৈরি করেছে।
এই প্রকল্পের অগ্রগতি এবং এর আওতায় ৬টি রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের সুযোগ তৈরির বিষয় খতিয়ে দেখেন রেল ও বাণিজ্য এবং শিল্পমন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল। এই রাজ্যগুলিতে ১৬৫টি রেল প্রকল্পে ২৯৮৮ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। চলতি বছরের ১৪ আগস্ট পর্যন্ত ১১২৯৬ জন শ্রমিক এই অভিযানে যুক্ত হয়েছেন এবং প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদারদের ১৩৩৬.৮৪ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।
রেলমন্ত্রক এই কাজ সম্পন্ন করতে প্রতিটি জেলার পাশাপাশি রাজ্যগুলিতে নোডাল অফিসার নিয়োগ করেছে। এমনকি রাজ্য সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় বজায় রাখা হয়েছিল। শ্রী গোয়েল পরিযায়ী শ্রমিকদের এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা ও তাদের সঠিক সময়ে অর্থ প্রদান করার জন্য রেলের জোনাল আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন।
এই প্রকল্পের আওতায় (i) লেভেল ক্রসিং পারাপারের জন্য যোগাযোগ রক্ষাকারী রাস্তা নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, (ii) রেলপথ বরাবর ড্রেনগুলির উন্নয়ন এবং পরিষ্কার করা, (iii) রেল স্টেশনগুলিতে পৌঁছানোর জন্য রাস্তা নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও প্রশস্তকরণ, (v) রেলওয়ের জমির চূড়ান্ত সীমানায় গাছ লাগানো এবং (vi) বর্তমান রেল সেতুগুলির রক্ষণাবক্ষেণের কাজ করা হয়।
উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গত ২০ জুন করোনা মহামারীর জেরে অঞ্চল / গ্রামগুলিতে ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন এবং জীবিকার সুযোগ প্রদানের জন্য গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান নামে একটি গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের সূচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযানের আওতায় গ্রামীণ পরিকাঠামো নির্মাণে ৫০,০০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
মাত্র ১২৫ দিনে এই অভিযানটি মিশন মোডে পরিনত হয়েছে।বিহার, ঝাড়খণ্ড, মধ্য প্রদেশ, ওড়িশা, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশ-৬টি রাজ্যে সব থেকে বেশি পরিযায়ী শ্রমিক ঘরে ফিরেছে।তাই এই রাজ্যগুলির ১১৬ টি জেলায় ২৫ টি ক্ষেত্রে কাজের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই অভিযানের আওতায় পরিকাঠামোগত কাজ বাস্তবায়ন ও জীবন যাপন সহজ করে তুলতে গ্রাম উন্নয়ন ও পঞ্চায়েতি রাজ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক, খনি, পানীয় জল ও স্যানিটেশন, পরিবেশ, রেল, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস, নতুন ও পুনর্নবীকরণ শক্তি, সীমান্ত সড়ক, টেলিযোগাযোগ ও কৃষি মন্ত্রকের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখা হয়েছে। সূত্র – পিআইবি