খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রক আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে একটি সংগ্রহালয় গড়ে তুলছে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে আদিবাসী মানুষের অবদানকে যথার্থ স্বীকৃতি দিতে এই মিউজিয়ামটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা হয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, প্রধানমন্ত্রী ২০১৬’র ১৫ই অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে একটি সংগ্রহালয় গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ঐ ভাষণে বলেছিলেন, যে রাজ্যগুলিতে আদিবাসীরা বসবাস করেন, সেখানে সরকার স্থায়ী সংগ্রহালয় গড়ে তোলার ব্যাপারে আগ্রহী। সরকার বিভিন্ন রাজ্যে এ ধরনের সংগ্রহালয় গড়ে তুলতে রাজ্য সরকারগুলিকে সাহায্য করবে, যাতে আগামী প্রজন্ম আদিবাসী মানুষের ক্ষমতায়ন ও আত্মবিসর্জন সম্পর্কে জানতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী, এ ধরনের প্রতিটি সংগ্রহালয় ভার্চ্যুয়াল রিয়ালিটি, অগমেন্টেড রিয়ালিটি থ্রিডি/সেভেনডি হলোগ্রাফিক প্রোজেকশন – এর মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগুলির প্রয়োগ করা হবে।
সংগ্রহালয়গুলিতে পার্বত্য ও অরণ্য এলাকায় তাঁদের অধিকার স্থাপনে সংগ্রামের নানা কাহিনী চিত্র প্রদর্শন ও অন্যান্য আলোকচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রক এ ধরনের সংগ্রহালয় গড়ে তুলতে রাজ্যগুলির সঙ্গে একাধিকবার আলাপ-আলোচনা করেছে। এমনকি, এ ধরনের সংগ্রহালয় গড়ে তোলার যাবতীয় অনুমোদনের জন্য মন্ত্রকের সচিবের নেতৃত্বে জাতীয় স্তরে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি সংগ্রহালয়ের কাজকর্মের অগ্রগতির ওপর নজর রাখবে। ইতিমধ্যেই পাঞ্জাবে বিরাসত-ই-খালসা সংগ্রহালয়, ভোপালে মানব সংগ্রহালয়, গুজরাটে আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে অত্যাধুনিক একটি সংগ্রহালয় গড়ে তোলার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। মন্ত্রক আরও ৮টি রাজ্যে আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে সংগ্রহালয় স্থাপনে অনুমতি দিয়েছে।
ইতিমধ্যেই মন্ত্রকের পক্ষ থেকে যে ৯টি এ ধরনের সংগ্রহালয় গড়ে তোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে ২টির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং বাকি ৭টির ক্ষেত্রে কাজকর্ম বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ সবকটি সংগ্রহালয় চালু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও রাজ্যগুলির সহায়তায় এ ধরনের নতুন সংগ্রহালয় স্থাপনে অনুমতি দেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত যে ৯টি রাজ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামে আদিবাসী মানুষের আত্মবিসর্জন ও অবদানকে যথাযোগ্য স্বীকৃতি জানাতে সংগ্রহালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেগুলি হ’ল – গুজরাট, ঝাড়খন্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মণিপুর এবং মিজোরাম। সূত্র – পিআইবি।