মানুষ ও হাতির মধ্যে সংঘাতে অবসানে একটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধান খুঁজে বের করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ : কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ আন্তর্জাতিক হস্তি দিবস উপলক্ষ্যে নতুন দিল্লীতে আজ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী শ্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে বন্যপ্রাণীর ক্রমবর্ধমান সংঘাতের মোকাবিলা করতে বনে এইসব প্রাণীদের জন্য খাদ্য ও জলের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ মন্ত্রী বলেছেন, হাতি সহ অন্যান্য প্রাণীদের রক্ষা করতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ। মানুষের সঙ্গে বন্য প্রাণীদের সংঘাত কমাতে একটি বাস্তবমুখী, ব্যয় সাশ্রয়ী সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বনকর্মীদেরও এ বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণের কাজ চলছে।

মানুষের সঙ্গে হাতিদের সহ-অবস্থানের ওপর গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রী বলেছেন, মানুষ এবং হাতির প্রাণ মূল্যবান। সংঘাতের ফলে জীবনহানি এড়াতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী এই উপলক্ষ্যে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেন। ‘ভারতে মানুষ ও হাতির সংঘাত বন্ধের জন্য ভালো কিছু ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এই বইটিতে হাতি রয়েছে এমন বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ ও হাতির মধ্যে সংঘাত কমানোর নানা পন্থা-পদ্ধতির বিবরণ রয়েছে।

আরও পড়ুন -  অন্তরঙ্গ দৃশ্য নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী সন্দীপ্তা, ‘ মার্ডার ইন দ্য হিলস ’

এই উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী শ্রী বাবুল সুপ্রীয় বলেন, দেশে হাতির সংখ্যা বাড়ছে। হাতিকে রক্ষা করতে এবং হাতি ও মানুষের মধ্যে সংঘাতের অবসান ঘটাতে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। নিরীহ প্রাণীদের হত্যা করা সরকার কখনই মেনে নেবেনা, তাই কেন্দ্র এই সংঘাতের অবসানে বেশকিছু ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই অনুষ্ঠানে মানুষ ও হাতির মধ্যে সংঘাতের অবসানে ‘সুরক্ষা’ নামে একটি জাতীয় পোর্টালের সূচনা করা হয়েছে। এই পোর্টালে এ সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য দেওয়া থাকবে। সংঘাতের অবসানে বিভিন্ন নীতি গ্রহণের বিষয়ে এই পোর্টাল সাহায্য করবে। রাজ্যগুলিও এই পোর্টালে চলতি বছরের শেষে যুক্ত হতে পারবে।

আরও পড়ুন -  Shehnaaz Gill: শেহনাজ মাটি মাখলেন, রাস্তায় গড়াগড়ি দিয়ে

প্রতি বছর ১২ই আগস্ট আন্তর্জাতিক হস্তি দিবস উদযাপিত হয়। বিশ্বজুড়ে হাতি সংরক্ষণের জন্য এবং বন্য ও পোষা হাতির রক্ষণাবেক্ষণে ইতিবাচক সমাধানের জন্য তথ্যের আদান-প্রদান করাই এই দিনটির মূল উদ্দেশ্য।

এশিয়ার হাতিরা আইইউসিএন-এর লাল তালিকাভুক্ত౼ অর্থাৎ বিপন্ন প্রজাতির। ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যেই চোরাশিকার এবং বিচরণভূমি না থাকার কারণে হাতির সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। সারা বিশ্বে ৫০-৬০ হাজার এশীয় হাতি রয়েছে- এরমধ্যে ৬০ শতাংশই ভারতে রয়েছে।

আরও পড়ুন -  Shakib-Bubli: অনন্ত জলিল, বদনাম চলচ্চিত্রে সুনাম বয়ে আনে না

আজকের অনুষ্ঠানে বন-দপ্তরের মহানির্দেশক ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের বিশেষ সচিব ডঃ সঞ্জয় কুমার, বন্যপ্রাণী দপ্তরের অতিরিক্ত মহানির্দেশক শ্রী সৌমিত্র দাশগুপ্ত, প্রজেক্ট এলিফ্যান্টের নির্দেশক শ্রী নোয়াল টমাস সহ মন্ত্রকের উচ্চ-পদস্থ আধিকারিকরা ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের বন দপ্তরের আধিকারিকরা এবং নানা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

‘ভারতে মানুষ ও হাতির সংঘাত বন্ধের জন্য ভালো কিছু ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক বইটি পড়তে নীচের লিঙ্কটি ক্লিক করুনঃ-
https://static.pib.gov.in/WriteReadData/userfiles/HEC-Brochure-%20Version%208-min.pdf

সূত্র – পিআইবি।