প্রধানমন্ত্রী আজ কৃষি পরিকাঠামো তহবিলের অধীনে এক লক্ষ কোটি টাকার কৃষি ঋণদান প্রকল্পের সূচনা করেছেন

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ প্রধানমন্ত্রী, পি এম-কিষান প্রকল্পের অধীনে প্রায় ৮.৫ কোটি কৃষকদের আধার লিঙ্ক একাউন্টে ষষ্ঠ কিস্তি বাবদ সরাসরি ১৭ হাজার কোটি টাকা দেওয়ারও সূচনা করেছেন

কৃষি পরিকাঠামো তহবিল থেকে ২২৮০টি কৃষি গোষ্ঠীর জন্য ১ হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এর ফলে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য পূরণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ কৃষি পরিকাঠামো তহবিলের অধীনে নতুন করে এক লক্ষ কোটি টাকার কৃষি ঋণদান প্রকল্পের সূচনা করেছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি বিষয়ক শিল্পোদ্যোগী ,কৃষি প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি এবং কৃষির সঙ্গে যুক্ত গোষ্ঠীগুলি বিশেষভাবে উপকৃত হবে। প্রকল্পের আওতায় তারা উৎপাদন পরবর্তী ব্যবস্থাপনা এবং কৃষি খামারের পরিচর্যার জন্য,ঐ পরিকাঠামো তহবিল ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এর ফলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্যের অধিক মূল্য পাবেন। একই সঙ্গে সঠিক ভাবে গোলাজাত করতে পারলে পণ্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পাবে এবং প্রক্রিয়াকরণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

মন্ত্রীসভা এই প্রকল্প আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুমোদন দেওয়ার ৩০ দিন পর, আজ ২,২৮০ টিরও বেশি কৃষি গোষ্ঠীর জন্য প্রথম কিস্তির ১০০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়। আজকের এই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে দেশজুড়ে লক্ষাধিক কৃষক,নানান খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থা,বিভিন্ন সমবায় এবং সাধারন নাগরিক যোগ দেন।

আরও পড়ুন -  সামার স্পেশাল ট্রেনের জন্য দুটি নতুন ট্রেন Indian Railway নিয়ে এলো

একই সঙ্গে,আজকের এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পি এম-কিষান প্রকল্পের অধীনে প্রায় ৮.৫ কোটি কৃষকদের আধার লিঙ্ক করা একাউন্টে ষষ্ঠ কিস্তি বাবদ সরাসরি ১৭ হাজার কোটি টাকা দেওয়ারও সূচনা করেছেন। গত ১ লা ডিসেম্বর ২০১৮ তে চালু হওয়া এই টাকা প্রদানের প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি কৃষকদের খাতে ৯০,০০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক কৃষি ঋণদান গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথোপকথন:

এই প্রকল্পের দরুন কর্নাটক, গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশের লাভবান তিনটি প্রাথমিক কৃষি ঋণদান গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন। এই গোষ্ঠীগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রী তাদের বর্তমান কার্যকলাপ এবং এই ঋণ তারা কিভাবে ব্যবহার করবেন সে বিষয়ে জানতে চান। গোষ্ঠীগুলি তাদের পরিকল্পনার কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন -  এক যুবককে চিঠি দিলেন প্রতিবেশীরা, কেন ? ”আস্তে আওয়াজ করুন ”

জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ:

কৃষি ঋণদান গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর,প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। তিনি, এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষক এবং কৃষিক্ষেত্র কি ভাবে লাভবান হবে তা দৃঢ়তার সঙ্গে তুলে ধরেন। তিনি বলেন এই প্রকল্প একদিকে কৃষক এবং কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগে সহায়তা করবে, অন্যদিকে ভারতকে আন্তর্জাতিক মানে তুলে ধরতে সাহায্য করবে।

প্রধানমন্ত্রী জানান ভারতে কৃষি পণ্য উৎপাদন পরবর্তী ব্যবস্থাপনার বিশেষ সুযোগ রয়েছে। এই প্রকল্পের ফলে কৃষি উদ্যোগী, স্টার্ট আপ, কৃষি প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি এবং কৃষি গোষ্ঠীগুলি বিশেষভাবে উপকৃত হবে।

পিএম-কিষান প্রকল্প দ্রুত রূপায়ণে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন এই কর্মসূচী এত বৃহৎ আকারের যে এর ফলে যত মানুষের কাছে টাকা পাঠানো হলো তা কয়েকটি দেশের মোট জনসংখ্যারও বেশি। তিনি এই কর্মসূচীর সফল রূপায়ণের জন্য রাজ্য সরকারগুলির উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন।

কেন্দ্রীয় কৃষি এবং কৃষক কল্যাণমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমার আজকের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

আরও পড়ুন -  ওয়েব সিরিজ দুনিয়াতে, প্রিয়া গামরের এই দৃশ্য দেখলে বুক ধড়ফড় করবে, ঘুমানোর আগে দেখবেন, VIDEO

কৃষি পরিকাঠামো তহবিল:

কৃষিপণ্য উৎপাদন পরবর্তী ব্যবস্থাপনা এবং কৃষি খামারের পরিচর্যার জন্য নির্মিত এই কৃষি পরিকাঠামো তহবিল ব্যবহৃত হবে। এর জন্য ১০ বছরের দীর্ঘকালীন ঋণ পাওয়া যাবে মাত্র ৩ % সুদে। কৃষি উদ্যোগী, স্টার্ট আপ, কৃষি প্রযুক্তির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, কৃষি গোষ্ঠীগুলি এবং কেন্দ্র ও রাজ্যের সংস্থাগুলি এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিশেষভাবে উপকৃত হবে।

পিএম-কিষান:

পিএম-কিষান প্রকল্প ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সূচনা হয়। কৃষি জমি আছে এমন কৃষকদের আয় সহায়তার জন্য এবং কৃষির প্রয়োজন মেটাতে এই প্রকল্পের মাধ্যমে নগদ টাকা দেওয়ার সংস্থান করা হয়েছে। কৃষকদের এক বছরে তিন কিস্তিতে মোট ৬ হাজার টাকা দেওয়া হয় এই প্রকল্পের অধীনে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সরকারের পুনর্গঠন কর্মসূচীর অধীনে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে এক নতুন সূর্যোদয়ের সূচনা হয়েছে। এর ফলে দেশের কৃষকদের জীবন ও জীবিকার উন্নতি এবং সামগ্রিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে। সূত্র – পিআইবি।