কোভিড-এর সময়ে আয়ুষ্মান ভারত-হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারগুলির স্বাস্থ্য পরিষেবা

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে আয়ুষ্মান ভারত-হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি নিয়মিত কোভিড বহির্ভূত স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে গেছে। কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনাতেও এই কেন্দ্রগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত মহামারীর সময়ে অতিরিক্ত ১৩,৬৫৭টি এ ধরনের স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্বাস্থ্য পরিষেবায় যুক্ত হয়েছে। ২৪শে জুলাই পর্যন্ত হিসেবে দেশ জুড়ে মোট ৪৩,০২২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিষেবা প্রদান করছে। এর ফলে, দেশের বহু মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।

১৮ই জুলাই থেকে ২৪শে জুলাইয়ের মধ্যে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ৪৪ লক্ষ ২৬ হাজার মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন। ২০১৮-র ১৪ই এপ্রিল থেকে এই ধরনের স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিষেবা দেওয়া শুরু করেছিল। শেষ পাওয়া হিসেবে মোট ১৯ কোটি ২৩ লক্ষ ৯৩ হাজার মানুষ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকে উপকৃত হয়েছেন। মহামারীর সময়ে কোভিড বহির্ভূত অসুখের চিকিৎসা যাতে ব্যাহত না হয়, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি তা নিশ্চিত করেছে। গত সপ্তাহে দেশ জুড়ে এ ধরনের কেন্দ্রে ৩২ হাজার যোগাসনের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলি পরিষেবা দেওয়ার পর থেকে মোট ১৪ লক্ষ ২৪ হাজার এ ধরনের অধিবেশনের আয়োজন করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন -  Jersey Auction: জার্সি নিলামে তুললেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায়

সংক্রমিত নয়, এমন ব্যাধির চিকিৎসা এখান থেকে নিয়মিতভাবে করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে উচ্চ রক্তচাপের জন্য ৩ লক্ষ ৮৩ হাজার, ডায়াবেটিসের ৩ লক্ষ ১৪ হাজার, মুখের ক্যান্সারের জন্য ১ লক্ষ ১৫ হাজার, ব্রেস্ট ক্যান্সারের জন্য ৪৫ হাজার এবং সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের জন্য ৩৬ হাজার মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন। আয়ুষ্মান ভারত-হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার চালু হওয়ার পর এ পর্যন্ত মোট ৪ কোটি ৭২ লক্ষ মানুষ উচ্চ রক্তচাপ, ৩ কোটি ১৪ লক্ষ মানুষ ডায়াবেটিস, ২ কোটি ৪৩ লক্ষ রোগী মুখের ক্যানসার, ১ কোটি ৩৭ লক্ষ রোগী ব্রেস্ট ক্যান্সার এবং ৯১ লক্ষ ৩২ রোগী সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের চিকিৎসা এই কেন্দ্রগুলি থেকে পেয়েছেন।

আরও পড়ুন -  স্লিভলেস গাউনে হট ফটোশুট, সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন সিরিয়ালের ‘বকুল’

এই কেন্দ্রগুলি সংক্রমিত নয় এরকম ব্যাধির চিকিৎসার করার ফলে রাজ্য স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এখান থেকে যে সমস্ত তথ্য পেয়েছেন, তার ফলে কোভিড-১৯ মহামারীর মোকাবিলার জন্য কৌশল তৈরি করতে সুবিধা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে ঝুঁকিপূর্ণ এবং জটিল অসুখে যাঁরা ভুগছেন তাঁদের প্রতি বিশেষ নজর রাখা সম্ভব হয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকে নিয়মিতভাবে টিকাকরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে – যেখানে গর্ভবতী মহিলাদের মেডিকেল চেক-আপ ছাড়াও যক্ষ্মা, কুষ্ঠ, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের রোগীরা নিয়মিত ওষুধ পেয়েছেন। সূত্র – পিআইবি।

আরও পড়ুন -  বড় জরিমানা হতে পারে, এত ওজন নিয়েই ভ্রমণ করতে পারবেন ট্রেনে