অর্থনীতিতে গতি আনতে ২৩টি কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার মূলধনী ব্যয়ের ওপর পর্যালোচনা বৈঠক অর্থমন্ত্রীর

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতি নির্মলা সীতারমণ আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস, বিদ্যুৎ, কয়লা ও খনি মন্ত্রনকের সচিব, পারমাণবিক শক্তি বিভাগের সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণকের আওতাধীন ২৩ টি কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার প্রধান নির্বাহী পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দেশের অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে অর্থমন্ত্রী বৈঠক করে চলেছেন। তারই অঙ্গ হিসেবে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন -  IPL 2025: অধিনায়ক ঋষভ পন্থকে ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস, পছন্দের তালিকায় রয়েছে ভারতীয় এই উইকেট রক্ষক

২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ২৩টি কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার মূলধনী ব্যয়ের লক্ষ্য মাত্রা রাখা হয়েছিল ১,৬৪,৮২২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ১০১% অর্থাৎ ১,৬৬,০২৯ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ২০২০-২১অর্থবর্ষে মূলধনী ব্যয়ের লক্ষ্য মাত্রা রাখা হয়েছে ১,৬৫,৫১০কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কার্যকারিতা পর্যালোচনা করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছেন যে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি ভারতীয় অর্থনীতিকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তিনি কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আরও ভাল কাজ করতে এবং ২০২০-২১ অর্থ বর্ষে তাদের প্রদত্ত মূলধন যথাযথভাবে ও সময়ের মধ্যে ব্যয় সুনিশ্চিত করতে উৎসাহ দেন। অর্থমন্ত্রী বলেন যে, কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে কোভিড ১৯-এর প্রভাব থেকে অর্থনীতিকে পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করতে পারে।

আরও পড়ুন -  Nobel Prize: তানজানিয়ার আবদুলরাজাক গুরনাহ, নোবেল পেলেন সাহিত্যে

২০২০-২১ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে ৫০% মূলধন ব্যয় সনুিশ্চিত করার জন্য এবং কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির কার্যকারিতা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সচিবদের নির্দেশ দেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বিভিন্ন সমস্যার দ্রুত সমাধানের পরামর্শ দেন।

আরও পড়ুন -  Abhishek Chatterjee: মনখারাপ অভিষেক স্ত্রী-কন্যার, শহর থেকে বহু দূরে যেতে হবে, পুজো বন্ধ

নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (এনপিসিআইএল) এবং এনএলসি’র মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি কোভিড ১৯-এর কারণে যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে সে বিষয়ে মন্ত্রক আলোচনা করছে। শ্রীমতি সীতারামন বলেছেন যে অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বিশেষ প্রচেষ্টার প্রয়োজন। সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে কেবল আরও ভাল কাজই হবে না বরং ভারতীয় অর্থনীতিতেও সুফল মিলবে। সূত্র – পিআইবি।