লকডাউন এ করোনা আবহে কাজ নেই, অনাহারে দিন কাটছে দরিদ্র মুচি সুদর্শনের

Published By: Khabar India Online | Published On:

সুমিত ঘোষ, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, মালদাঃ    লকডাউন এর জেরে কাজ হারিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর দুই ব্লক এলাকার সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বারদুয়ারী কলোনি গ্রামের বাসিন্দা সুদর্শন রবি দাসের। তিনি ত্রিশ বছর ধরে হরিশ্চন্দ্রপুর পশু হাসপাতাল এলাকায় মুচির কাজ করে জীবন ধারণ করেন। ষাট বছর পেরিয়ে গেলেও জোটেনি কোন সরকারি সাহায্য। পাননি আবাস যোজনার ঘর কিংবা কোন সরকারি ভাতা। লকডাউন এর জেরে রোজগার কমে গিয়েছে। জুতো মেরামতের আর কাজ জুটছে না। প্রায় প্রতিদিনই খালি হাতেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। এর জেরে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে সুদর্শন রবি দাস কে।

আরও পড়ুন -  তৃণমূল কংগ্রেস, এবার বাংলার বাইরে জয় করতে তৈরী হচ্ছে, প্রথম সাংগঠনিক বৈঠক থেকেই ঘোষণা অভিষেকের

এ প্রসঙ্গে সুদর্শন বাবু জানালেন লকডাউন এর আগে প্রতিদিন প্রায় আশি থেকে একশো টাকা রোজগার হত।কিন্তু লকডাউন এর পর থেকেই এক ধাক্কায় রোজগার কুড়ি থেকে ত্রিশ টাকায় নেমে এসেছে। কোনদিনও বা খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। বাড়িতে তার ছোট দুই ছেলেমেয়ে। অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে খুব সমস্যায় পড়েছেন তিনি। সরকার তার দিকে না তাকালে না খেয়ে মরতে হবে। অনেক কষ্ট করে ধারদেনা করে বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। তার বর্তমানে এক ছেলে এক মেয়ে স্কুলে পড়াশোনা করে। বর্তমানে তিনি চান সরকার তার জন্য একটা ভাতার ব্যবস্থা করুক।

আরও পড়ুন -  Pakistan: সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ইমরান খানের সমর্থকরা, পাকিস্তান জুড়ে

স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল দাস জানালেন ত্রিশ বছর ধরে হরিশ্চন্দ্রপুর পশু হাসপাতালে সামনে এই বৃদ্ধ সুদর্শন রবিদাস জুতো সেলাইয়ের কাজ করে। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করলেও আজ পর্যন্ত কোন সরকারি সাহায্য জোটেনি। স্থানীয় প্রশাসনের উচিত দরিদ্র মুচির পাশে দাঁড়ানো।

আরও পড়ুন -  তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল

সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ওয়াহিদুর রহমান জানিয়েছেন, আমরা শুনেছি তবে পঞ্চায়েতের স্তর থেকে সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে তাকে সাহায্য করা হবে। যদি তিনি তপশিলি জাতি ভুক্ত হন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ওনার ভাতার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।