জাতীয় স্তরে ওষুধের আবিষ্কার পদ্ধতিকে সাহায্য করার জন্য কেন্দ্রের ড্রাগ ডিসকভারি হ্যাকাথন ২০২০-র সূচনা

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ      কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন এবং কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী রমেশ পোখরিয়াল ‘নিশাঙ্ক’এর উপস্থিতিতে আজ ওষুধ আবিষ্কার হ্যাকাথন অর্থাৎ ড্রাগ ডিসকাভারি হ্যাকাথনের সূচনা হয়েছে। মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের উদ্ভাবন সেল, নিখিল ভারত কারিগরি শিক্ষা পরিষদ এবং বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে এই হ্যাকাথন চালু করা হয়। সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং এবং মাই গভ এই উদ্যোগকে সাহায্য করেছে। এই অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

ওষুধ আবিষ্কারের পদ্ধতিকে সাহায্য করার জন্য এ ধরণের জাতীয় উদ্যোগ এই প্রথম। কম্পিউটার সায়েন্স, রসায়ন বিদ্যা, চিকিৎসা বিজ্ঞান, ওষুধ বিদ্যা, বেসিক সায়েন্সের মতো নানা ক্ষেত্রের পেশাদার, গবেষক এবং ছাত্রছাত্রীরা এই হ্যাকাথনে যোগ দেবেন।

আরও পড়ুন -  Imran Khan: ইমরান খান করতে পারবেন না ৫ বছর রাজনীতি

ডঃ হর্ষ বর্ধন বলেন, আমাদের কম্পিউটার ব্যবহার করে ওষুধের আবিষ্কারের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। সেই উদ্দেশ্য নিয়ে এই হ্যাকাোথনের আয়োজন করা হয়েছে। উদ্ভাবনী সেল এবং নিখিল ভারত কারিগরি শিক্ষা পরিষদ সম্ভাব্য ওষুধের অভ্যন্তরীন বিষয়গুলিকে শনাক্ত করবে এবং বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ চিহ্নিত এই ওষুধগুলির বিন্যাসকে বিশ্লেষণ করে সেগুলির দক্ষতা, ক্ষতিকর দিক এবং সংবেদনশীলতার বিষয়ে গবেষণাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। ডঃ বর্ধন বলেন, কোভিড-১৯এর চিকিৎসার জন্য বাজার চলতি বেশ কয়েকটি ওষুধের প্রয়োগ নিয়ে কাজ চলছে। একই সঙ্গে আমাদের নতুন ওষুধ খুঁজে বের করার বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে। তিনি বলেন, কম্পিউটারের মাধ্যমে ‘ইন-সিলিকো’ পদ্ধতিতে ওষুধের সন্ধানের ক্ষেত্রে কৃত্রিম মেধা, বিপুল তথ্যের মতো প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হবে।

আরও পড়ুন -  Deepika: বিরক্ত দীপিকা, রণবীরের একটি স্বভাবে !

শ্রী রমেশ পোখরিয়াল ‘নিশাঙ্ক’ বলেন তাঁর মন্ত্রক এবং নিখিল ভারত কারিগরি শিক্ষা পরিষদের নানা ধরণের হ্যাকাথনের আয়োজন করার অভিজ্ঞতা থাকলেও ওষুধ সংক্রান্ত এই ধরণের হ্যাকাথনের উদ্যোগ এই প্রথম।

মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শ্রী সঞ্জয় ধোতরে বলেন, আমাদের সরকার দেশে এই হ্যাকাথন সংস্কৃতির সূচনা করেছে যার মাধ্যমে আমাদের তরুণ সম্প্রদায় বেশ কিছু জটিল সমস্যার সমাধান করবেন।

কেন্দ্রের মুখ্য বিজ্ঞান উপদেষ্টা অধ্যাপক কে বিজয় রাঘবন বলেছেন, এই হ্যাকাথনের তিনটি পর্যায় থাকবে। প্রতিটি পর্যায়ের সময়কাল তিন মাস করে। পুরো প্রক্রিয়াটি আগামী বছর এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে শেষ হবে।

এই হ্যাকাথনের বিষয়ে তথ্য ও পদ্ধতি:-

বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে যেগুলিতে নির্দিষ্ট কয়েকটি ওষুধ আবিষ্কারের কথা উল্লেখ আছে। সব মিলিয়ে এরকম ২৯টি সমস্যাকে সমাধানের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -  উৎসবের মরশুমে ভালো থাকার প্রত্যাশা

মাই গভ পোর্টাল ব্যবহার করে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা সহ দেশ-বিদেশের পেশাদার ও গবেষকরা এই হ্যাকাথনে অংশ নিতে পারবেন।

হ্যাকাথনের প্রথম পর্যায়ে কোভিড-১৯ প্রতিরোধী ওষুধের অভ্যন্তরীণ গঠনের বিষয় নিয়ে কাজ করা হবে। এরজন্য মলিকিউলার মডেলিং, ফার্মাকোফোর পদ্ধতি সহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে নতুন নতুন যন্ত্র এবং অ্যালগরিদম ব্যবহার করে কম্পিউটারের মাধ্যমে এই ওষুধগুলির প্রভাবের বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। তৃতীয় পর্যায়ে ‘মুন শট’ প্রক্রিয়া ব্যবহার করে উদ্ভাবনগুলিকে তৎক্ষণাৎ প্রয়োগ করা হবে।

এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কটি ক্লিক করুন
pibphoto.nic.in/documents/rlink/2020/jul/i20207201.mp4

সূত্র – পিআইবি।